‘আমি খুব স্বার্থপর হয়ত, তাই মায়ের উপর…’ রচনার সামনে একী বললেন মেয়ে!

‘আমি খুব স্বার্থপর হয়ত, তাই মায়ের উপর…’ রচনার সামনে একী বললেন মেয়ে!

ফের চর্চায় দিদি নম্বর ওয়ান। তবে রচনার এই শো অবশ্য নিত্যদিনই আলোচনায় থাকে। তাই এ আর নতুন কী! আম আদমি থেকে সেলেব, ‘দিদি নম্বর ওয়ান’-এর মঞ্চে প্রতিদিনই কেউ না কেউ এসে হাজির হন। নানান গেম খেলার পাশাপাশি রচনার সঙ্গে তাঁরা জমিয়ে গল্প করেন, উঠে আসে নানান কথা।

এবার দিদি নম্বর ওয়ান-এর মঞ্চে আসতে চলেছে মা ও মেয়ের জুটি। সেই পর্বেই হাজির হয়েছিলেন সুস্মিতা বন্দ্য়োপাধ্যায় ও শাওনি বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই কথা কথায় জানা গেল সুস্মিতার মেয়ে শাওনি সম্প্রতি চাকরি পেয়েছেন। আর সেকথা শুনেই রচনা সুস্মিতাকে প্রশ্ন করেন, ‘চাকরি পাওয়ার পর মেয়ে গিফট দেয় আপনাকে?’ একথা সুস্মিতা দেবীর মেয়ের সম্পর্কে বলেন, ‘ওর চাকরি! ও এখনও পর্যন্ত নিজের স্যালারি নিজে তোলে নি। এখনও পর্যন্ত পুরো আমার দায়িত্বে। প্রতি মাসে ও আমায় বলেন, মা আমার এমাসে হাত খরচ কত? বলে, মা এই জিনিসটা কিনব, পারমিট করবে কি?’ মায়ের মুখে একথা শুনে শাঁওনি তখন হাসছিলেন।

একথায় রচনা বলেন, ‘ভালো তো, এটাই তো জিগ্গেস করা উচিত।’ এরপর মেয়ে শাঁওনি তাঁর মাকে দেখিয়ে বলেন, ‘যতটা দায়িত্ব দিয়ে দেওয়া যায়। আমি খুব স্বার্থপর হয়ত, তবে যত দায়ভার মায়ের উপর চাপিয়ে নিজে শান্তিতে থাকা যায়।’

আবার ‘দিদি নম্বর ওয়ান’-এর এই পর্বেই হাজির হয়েছিলেন আরও এক মা-মেয়ে জুটি রুমকি চট্টোপাধ্যায় ও মেয়ে বিদিশা চট্টোপাধ্যায়। রচনা বিদিশার উদ্দেশ্যে বলেন, ‘তুমি একদিন ল-ইয়ার, আরেকদিকে ফিল্ম নিয়ে কাজ করছো।’ বিদিশা সম্মতি জানিয়ে তখন বলেন, ‘আমি প্রত্যেকদিন যে দুনিয়াটা দেখি, মেয়েদের সঙ্গে অন্যায়-অবিচার চলছে। আমি চাই সেই গল্পগুলোকেই মানুষের কাছে তুলে ধরতে। আমাকে দেখে যদি একটা মানুষও ঘুরে দাঁড়াতে পারে, সেটাই আমার স্বার্থকতা।’

এদিকে ‘দিদি নম্বর ওয়ান’-এর শ্য়ুটিং-এর পাশাপাশি জোর কদমে ভোটের প্রচারও চালাচ্ছেন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। হুগলি লোকসভা কেন্দ্র থেকে ভোটে লড়ছেন তিনি। তাই নিত্যদিনই তীব্র গরমের মধ্যে নিজের লোকসভা এলাকার বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে ভোট প্রচার করতে দেখা যাচ্ছে রচনাকে। আবার বিভিন্ন সময় নানান বেফাঁস কথা বলার জন্য ট্রোলও হতে হচ্ছে তাঁকে।

(Feed Source: hindustantimes.com)