Heart Disease: প্রায় অর্ধেক হৃদরোগীর রাতে ঘুম হয় না! চাঞ্চল্যকর দাবি গবেষণায়

হৃদরোগে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। এমনকী সাধারণ মানুষ ছেড়ে দিন, সেলেবদের মধ্যেও এই রোগের প্রবণতা এখন অনেক বেশি। আর শুধু রোগে আক্রান্ত হওয়াই নয়, পাশাপাশি মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়া রোগীর সংখ্যাও নেহাত কম নয়। আর সবথেকে বড় কথা, আগে হার্টের রোগ মূলত একটু বেশি বয়সেই হতো। তবে এখন আর সেই বালা নেই। বর্তমানে অনেক কম বয়সেও মানুষ এই রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। তাই প্রতিটি মানুষকে অবশ্যই এই বিষয়টি নিয়ে সতর্ক হতে হবে। বিশেষত, ডায়াবিটিস (Diabetes), প্রেশার (Blood Pressure), কোলেস্টেরলের (Cholesterol) মতো অসুখ থাকলে অত্যন্ত সতর্কতা প্রয়োজন।

এবার হার্টের রোগে আক্রান্ত হওয়ার নেপথ্যে অনেক কারণ থাকতে পারে। তবে বর্তমানে একটি গবেষণা জানাচ্ছে, এই রোগে আক্রান্ত প্রায় অর্ধেক মানুষের রয়েছে রাতে ঘুমের সমস্যা বা বিজ্ঞানসম্মত ভাষায় ইনসোমনিয়া (Insomnia)। এই গবেষণাটি প্রকাশিত হয়েছে, স্লিপ অ্যাডভান্সেস জার্নালে। নরওয়ের ওসলো বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র তথা এই গবেষণার মুখ্য গবেষক লার্স ফোর্জড বলেন, ঘুম ঠিকমতো না হলে মানসিক সমস্যা দেখা যায়। কিন্তু আমাদের গবেষণা জানাচ্ছে, উৎকণ্ঠা, অবসাদের পাশাপাশি হার্টের রোগের সঙ্গেও ইনসোমনিয়ার সম্পর্ক রয়েছে।

তিনি আরও জানান, হার্টের রোগীদের ইনসোমনিয়ার সমস্যা রয়েছে কিনা তা গুরুত্ব দিয়ে দেখতে হবে। এমনকী সেই সমস্যার ঠিকমতো চিকিৎসা হওয়াও প্রয়োজন।

আরও পড়ুন: নিজের অসুস্থতার ইঙ্গিত নিজেই দিয়ে থাকে হৃদযন্ত্র, এই লক্ষণগুলিকে ভুলেও উপেক্ষা নয়

এই গবেষণার জন্য ১০৬৮ জন হার্ট অ্যাটাক আক্রান্ত রোগীকে ১৬ মাস ধরে পর্যবেক্ষণ করা হয়। দেখা হয়, এই রোগীজের আদৌ ফের কোনও হার্টের রোগ বা অন্যান্য সমস্যা দেখা যাচ্ছে কিনা!

Heart Disease

গবেষণায় অংশগ্রহণকারীদের ঘুম সংক্রান্ত বিভিন্ন প্রশ্ন করা হয়। এক্ষেত্রে কত তাড়াতাড়ি ঘুম হয়, ঘুম থেকে জেগে যেতে হয় কিনা, ঘুম ভেঙে ভেঙে হয় কিনা ইত্যাদি বিষয়গুলি জিজ্ঞেস করা হয়। পাশাপাশি ঘুম না হওয়ার ফলে পরের দিনটা কেমন যায়, আদৌ কাজ করা সম্ভব হয় কিনা, এই বিষয়গুলিও জানতে চাওয়া হয়।

এই গবেষণা থেকে জানা যাচ্ছে, প্রায় অর্ধেক হৃদরোগে আক্রান্ত মানুষের দেখা দিচ্ছে ইনসোমনিয়ার সমস্যা। গবেষকরা জানান, ইনসোমনিয়ার মতো সমস্যা হার্টের রোগীদের দেখা দিতে শুরু করেছে। এক্ষেত্রে অন্য কোনও রোগ না থাকলেও এই সমস্যা দেখা দেওয়া স্বাভাবিক। এবার এই বিষয়ে আরও বেশি গবেষণা দরকার যে কগনিটিভ বিহেভিয়ারাল থেরাপি এবং ডিজিট্যাল এপ্লিকেশননের মাধ্যমে এই রোগীদের সুস্থ করে তোলা যায় কিনা।