জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: কর্মক্ষেত্রে মহিলাদের ঋতুস্রাবকালীন ছুটি মঞ্জুর করার আর্জিতে দায়ের করা মামলা গ্রহণ করল না সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ, আদালত এই আরজির বিরোধী নয়। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট এমন নির্দেশ দিলে কর্মক্ষেত্রে উল্টো ফল হতে পারে। বেসরকারি সংস্থাগুলি মহিলাদের নিয়োগের ক্ষেত্রে অনীহা দেখাতে পারে।
তাই সমস্ত রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির সঙ্গে পরামর্শ করে একটি নির্দিষ্ট আদর্শ নীতি তৈরি করুক কেন্দ্র। এমনটাই জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জে বি পারদিওয়ালা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রর বেঞ্চ। আদালতের বক্তব্য, ঋতুস্রাবকালীন ছুটির মডেল পলিসি কেমন হওয়া উচিত সে বিষয়ে দেশের শীর্ষ আদালতে হস্তক্ষেপ করবে না।
নির্দেশ দানের সময় বিচারপতিরা আশঙ্কা প্রকাশ করে জানিয়েছেন যে, প্রতি মাসে দু-তিন দিন সবেতন ছুটি দেওয়ার নির্দেশ জারির পর বেসরকারি উদ্যোক্তারা মহিলাদের নিয়োগে অনীহা দেখাতে পারে। ফলে চাকরির বাজারে সমস্যায় পড়তে পারেন মহিলারা। তাই কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারগুলির উচিত সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা।
প্রসঙ্গত, পিরিয়ড চলাকালীন কর্মক্ষেত্রে ছুটি দেওয়া নিয়ে দেশের শীর্ষ আদালতে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়। ঋতুকালীন সময়ে মাসে অন্তত দু’দিন ঋতুমতি মহিলা কর্মীদের সবেতন ছুটি দেওয়ার আর্জি জানিয়ে জনস্বার্থের মামলা দায়ের হয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে। কিন্তু সেই মামলায় হস্তক্ষেপ করতে চাইল না সুপ্রিম কোর্ট।
বর্তমানে বিহারে রাজ্য সরকারের মহিলা কর্মচারীদের ঋতুস্রাবের সময় দু’দিন সবেতন ছুটি দেওয়া হয়। লালুপ্রসাদ যাদব মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালে ১৯৯২ সালে এই ছুটি চালু করেছিলেন, যা এখনও অব্যহত। সম্প্রতি কেরলে পিনারাই বিজয়ন সরকারও মহিলাদের ঋতুস্রাবের সময় মাসে তিন দিন সবেতন ছুটি মঞ্জুর করেছে।
(Feed Source: zeenews.com)