Bird Flu: রাজ্যে ছড়াচ্ছে বার্ড ফ্লু সংক্রমণ? ডিম-চিকেন কি খাওয়া যাবে? কী বললেন স্বাস্থ্যকর্তা…

Bird Flu: রাজ্যে ছড়াচ্ছে বার্ড ফ্লু সংক্রমণ? ডিম-চিকেন কি খাওয়া যাবে? কী বললেন স্বাস্থ্যকর্তা…

পিয়ালি মিত্র: রাজ্যে বার্ড ফ্লু নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। স্বাচ্ছ্যন্দে ডিম, চিকেন খাওয়া যেতে পারে। এখানে কীভাবে মানব শরীরে বার্ড ফ্লু-এর সংক্রমণ এল, সেই ‘সোর্স’ এখনও জানা যায়নি। তবে এই মুহূর্তে এরাজ্যে মুরগির মধ্যে বার্ড ফ্লু ‘মারণ’ হিসেবে দেখাও যায়নি। ওদিকে ‘হিউম্যান টু হিউম্যান’ বার্ড ফ্লু ভাইরাসের সংক্রমণের তথ্যও পাওয়া যায়নি। স্বাস্থ্যভবনে সাংবাদিক বৈঠক করে এমনটাই জানালেন রাজ্যের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দফতরের প্রিন্সিপ্যাল সেক্রেটারি নারায়ণ স্বরূপ নিগম।

তিনি বলেন, “মালদাতে বার্ড ফ্লু আক্রান্ত হয়েছে বলে তথ্য সামনে এসেছে। তার জন্য কিছু আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। মালদাতে একটি বাচ্চার ইনফ্লুয়েঞ্জা হয়েছিল। মার্চ মাসে তার জিনোম সিকোয়েন্স করতে পাঠানো হয়। প্রথম টেস্ট পজিটিভ আসে। তবে দ্বিতীয় টেস্ট নেগেটিভ আসে। বাচ্চাটি সুস্থ হয়ে ওঠে। ওদিকে দ্বিতীয় একটি বাচ্চা অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন থেকে আসে। ফিরে যাওয়ার পর তার শরীরে বার্ড ফ্লু-এর সংক্রমণ পাওয়া যায়। হিউম্যান টু হিউম্যান ট্রান্সমশিনের সম্ভাবনাকে পুরোপুরি খারিজ করে দেওয়া যায়।আতঙ্কতি হওয়ার কোনও কারণ নেই। চিকেন, ডিম যাঁরা খান, তাঁদের জন্য কোনও সতর্ততা জারি করা হয়নি।”

নারায়ণ স্বরূপ নিগম আরও আশ্বস্ত করেন, “অ্যাভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জার পর্যাপ্ত সার্ভিলেন্স ব্যবস্থা আছে। বেলগাছিয়াতে ল্যাব আছে। সেখান প্রতি বছর ৩০ হাজার স্যাম্পেল আসে। গত মার্চ এপ্রিলে মোট ১৭২৮টি স্যাম্পেল টেস্ট হয়। তাতে কোথাও অ্যাভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস ধরা পড়েনি। মালদা থেকে যে ৩০০-র বেশি স্যাম্পেল নেওয়া হয়েছে, সেখানেও কোনও অ্যাভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস পাওয়া যায়নি। তাই বিভ্রান্তির কোনও জায়গা নেই। যেটা ধরা পড়েছে সেটা লো প্যাথোজেনিক। ফলে বড় মাপের ক্ষতির কোনও আশঙ্কা নেই। আর এর সোর্স এরাজ্যে পাওয়াও যায়নি।”

প্রসঙ্গত, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা WHO-এর থেকে রাজ্যের কাছে রিপোর্ট আসে যে, রাজ্যের ৪ বছরের এক শিশু বার্ড ফ্লু-এ আক্রান্ত। এই খবর সামনে আসার পরই উদ্বেগ ছড়ায়। ২০১৯ সালে দেশে একজনের শরীরে মিলেছিল বার্ড ফ্লু-র ভাইরাস। তারপর ৪ বছর পর ফের এক শিশুর শরীরে H9N2 ভাইরাস মেলার খবর সামনে আসে। WHO জানায় গুরুতর শ্বাসকষ্ট, জ্বর ও পেটে ব্যথা নিয়ে ওই শিশু গত ফেব্রুয়ারি মাসে হাসপাতালে ভর্তি হয়। পরিস্থিতি গুরুতর হওয়ায় তাকে আইসিইউতে রাখতে হয়। টানা ৩ মাস চিকিত্সার পর ছাড়া হয় ওই শিশুকে।

উল্লেখ্য, দেশে ৪ রাজ্যে অ্যাভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা তথা বার্ড ফ্লু সংক্রমণ ছড়িয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে অন্ধ্রপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, ঝাড়খণ্ড ও কেরালা। অন্ধ্রপ্রদেশের নেল্লোর, মহারাষ্ট্রের নাগপুর, ঝাড়খণ্ড রাঁচি, কেরালার আলাপ্পুঝা, কোট্টায়াম, পাথানামথিত্ত জেলায় বার্ড ফ্লু সংক্রমণের খবর মেলে। যারপর নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসনও।

(Feed Source: zeenews.com)