নয়াদিল্লি: ক্যাপ্টেন অংশুমান সিংকে মরণোত্তর কীর্তি চক্র সম্মানে ভূষিত করেছে ভারত সরকার। রাষ্ট্রপতি ভবনে স্ত্রী স্মৃতি ও মায়ের হাতে সেই সম্মান তুলে দেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। এরপরই সেনার মৃত্যুতে পরিবারকে আর্থিক সহায়তার জন্য ভারতীয় সেনাবাহিনীর নেক্সট অফ কিন (NOK) পরিবর্তনের দাবি করলেন শহিদ ক্যাপ্টেন অংশুমান সিংয়ের মা-বাবা।
একটি বৈদ্যুতিন সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ক্যাপ্টেন অংশুমান সিংয়ের বাবা রবি প্রতাপ সিং এবং মা মঞ্জু সিং দাবি করেন, পুত্রবধূ স্মৃতি সিং আর তাঁদের সঙ্গে থাকেন না। ছেলের মৃত্যুর পর তাঁর বেশিরভাগ সম্পত্তি পুত্রবধূই পেয়েছে। এখন তাঁরা অসহায়। প্রসঙ্গত, গত বছর সিয়াচেনে অগ্নিকাণ্ড থেকে সহকর্মীদের বাঁচাতে গিয়ে শহিদ হন ক্যাপ্টেন অংশুমান সিং।
টিভি ৯ ভারতবর্ষকে রবি প্রতাপ বলেন, “NOK-এর সেট করা মানদণ্ড ঠিক নয়। এই নিয়ে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের সঙ্গে কথা বলেছি। পুত্রবধূ আর আমাদের সঙ্গে থাকেন না। মাত্র পাঁচ মাস বিয়ে হয়েছিল, ওঁদের কোনও সন্তানও নেই। আমাদের কাছে শুধু দেওয়ালে ঝোলানো মালা দেওয়া ছেলের ছবি ছাড়া কিছুই রইল না।’’
সঙ্গে তিনি যোগ করেন, “এই জন্য আমরা চাই NOK-এর নীতির পুনর্মূল্যায়ন করা হোক। শহিদের স্ত্রী পরিবারের সঙ্গে থাকলে কার উপর কতটা নির্ভরশীল থাকবে সেটা ঠিক করা উচিত।’’ ক্যাপ্টেন অংশুমান সিংয়ের মা মঞ্জু সিংও NOK-এর নীতিতে বদল চান। তিনি বলেন, “আমরা চাই সরকার NOK-এর নিয়মগুলি সংশোধন করুক, যাতে মা-বাবাকে কষ্ট পেতে না হয়।’’
ভারতীয় সেনাবাহিনীর নিয়ম অনুযায়ী, চাকরিরত কোনও সেনা সদস্যের কিছু হলে, এক্স গ্রেশিয়ার পরিমাণ নেক্সট অফ কিন (NOK)-কে দেওয়া হয়। সহজ কথায় বললে, সবচেয়ে নিকট আত্মীয়কে হস্তান্তর করা হয়। যখন কোনও ব্যক্তি ভারতীয় সেনাবাহিনীতে যোগ দেন, তখন পিতামাতা, অভিভাবক বা আত্মীয়ের নাম NOK হিসেবে নথিভুক্ত করা হয়। যখন সেই ক্যাডেট বা অফিসার বিয়ে করেন, তখন সেনাবাহিনীর নিয়ম অনুযায়ী পিতামাতা, অভিভাবক বা আত্মীয়ের নাম বদলে তাঁর স্ত্রীর নাম NOK-তে তোলা হয়।
(Feed Source: news18.com)