#ভোপাল: একটা-দুটো নয়, ১১৮টি সেলাই পড়ল তাঁর মুখে। সারা মুখ ভেসে গেল রক্তে। ছুরি দিয়ে আততায়ীরা ফালা ফালা করে দিল তাঁর মুখ। সেই মহিলার অপরাধ? তিনি শ্লীলতাহানির প্রতিবাদ করেছিলেন।
প্রাণে বাঁচলেও অসহ্য যন্ত্রণা নিয়ে সেই মহিলা হাসপাতালে ভর্তি। স্বামীর সামনেই তাঁর এমন অবস্থা করল দুস্কৃতিরা। মধ্য প্রদেশের ভোপালের বাসিন্দা সেই মহিলা। স্বামীকে সঙ্গে নিয়ে টিটিনগরের রোশনপুরার শ্রী প্যালেস হোটেলে গিয়েছিলেন তিনি। ওখানেই বাইক রাখা নিয়ে এক দল দুষ্কৃতীর সঙ্গে তাঁদের ঝামেলা বাঁধে।
পার্কিং নিয়ে ঝামেলা গড়ায় অনেক দূর। স্থানীয়রা অনেকেই জানিয়েছেন, ওই মহিলাকে কটুক্তি করে দুষ্কৃতিরা। তার পর তাঁকে দেখে শিস দিতে শুরু করে তিনজন। তখন এগিয়ে গিয়ে অভিযুক্তদের তিন জনকে চড় মেরেছিলেন সেই মহিলা। যদিও হোটেল কর্তৃপক্ষের মধ্যস্থতার পরিস্থিতি সাময়িক নিয়ন্ত্রণে আসে।
এর পর মহিলা ও তাঁর স্বামী হোটেলে ফিরে যান। কিন্তু তাঁদের হোটেল থেকে বেরনোর জন্য অপেক্ষা করছিল দুষ্কৃতিরা। তাঁরে হোটেল থেকে বেরোতেই তাঁদের উপর চড়াও হয় ওই দুষ্কৃতিরা। সেই মহিলার মুখে এলোপাথাড়ি ছুরি চালাতে থাকে তারা। এমন নক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়ে তিন দুষ্কৃতি পালিয়ে যায়।
স্ত্রীকে বাঁচানোর অনেক চেষ্টা করেন ওই ব্যক্তি। তবে পারেননি। তড়িঘড়ি স্ত্রীকে হাসপাতালে নিয়ে যান তিনি। চিকিত্সকরা জানান, আঘাত গুরুতর। গভীর ক্ষত হয়েছে সারা মুখে। অস্ত্রোপচারের পর ওই মহিলার মুখে ১১৮টি সেলাই পড়ে।
পুলিশ জানিয়েছে, ওই মহিলার অবস্থা অস্ত্রোপচারের পর স্থিতিশীল। তবে তাঁকে দীর্ঘদিন চিকিত্সার মধ্যে থাকতে হবে বলে জানিয়েছেন চিকিত্সকরা। তিনজন দুষ্কৃতির মধ্যে ২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
এরই মধ্যে মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর ওই মহিলার সঙ্গে দেখা করতে তাঁর বাড়িতে যান। তিনিই অভিযুক্তদের শাস্তির ব্যাপারে আশ্বস্ত করেন। নির্যাতিতাকে এক লক্ষ টাকা পুরষ্কার দেওয়া হয়েছে মধ্যপ্রদেশ সরকারের তরফে। মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ওই মহিলার সাহসিকতার প্রশংসা করেছেন।