জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ব্লাড ক্যানসারে আক্রান্ত টিম ইন্ডিয়ার প্রাক্তন কোচ অংশুমান গায়কোয়াড়। এই মুহূর্তে তাঁর চিকিৎসা চলছে ইংল্যান্ডে। একসময়ের সতীর্থ গুরুতর অসুস্থ হওয়ায় মহিন্দর অমরনাথ, সুনীল গাওস্কর, সন্দীপ পাটিল, দিলীপ বেঙ্গসরকার, মদন লাল, রবি শাস্ত্রী ও কীর্তি আজাদরা নিজেদের মতো করে অংশুমানের জন্য তহবিল সংগ্রহের চেষ্টা করছেন। তবে পরবর্তী চিকিত্সা চালাতে অর্থের প্রয়োজন। শনিবারই পেনশনের অর্থ গায়কোয়াড়ের চিকিৎসার জন্য ব্যয় করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কপিল দেব। ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডকে এগিয়ে আসার অনুরোধ করেছেন কপিল। পরেরদিনই বড় সিদ্ধান্ত নিল বিসিসিআই।
বোর্ডকে অবিলম্বে অংশুমান গায়কোয়াড়ের পরিবারকে ১ কোটি টাকার আর্থিক সহায়তা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন, বিসিসিআই সচিব জয় শাহ। তিনি গায়কোয়াড়ের পরিবারেরসঙ্গেও কথা বলেছেন। অংশুমানের স্বাস্থ্যের বিষয়ে খোঁজখবর নিয়েছেন এবং আশ্বাস দিয়েছেন যে বোর্ড ক্রমাগত তাঁর চিকিৎসার উপর নজর রাখবে। তিনি গায়কোয়াড়ের পরিবারেরসঙ্গেও কথা বলেছেন। অংশুমানের স্বাস্থ্যের বিষয়ে খোঁজখবর নিয়েছেন এবং আশ্বাস দিয়েছেন যে বোর্ড ক্রমাগত তাঁর চিকিৎসার উপর নজর রাখবে।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে কপিল দেব বলেছেন, খুব খারাপ ও হতাশ লাগছে। আমি খুবই যন্ত্রণাক্লিষ্ট, কারণ অংশুর সঙ্গে আমিও খেলেছি। তাঁকে এই অবস্থায় দেখার কথা সহ্য করতে পারছি না। কারও এমন অবস্থায় পড়া বাঞ্ছনীয় নয়। আমি আশা করি, বোর্ড অংশুর প্রতি যত্নশীল হবে। তিনি আরও বলেন, ‘দুর্ভাগ্যক্রমে আমাদের কোনও সিস্টেম নেই। এটা দেখে ভাল লাগে যে এখনকার খেলোয়াড়রা ভাল টাকা উপার্জন করছেন। সাপোর্ট স্টাফদেরও ভাল টাকা দেওয়া হচ্ছে দেখে ভাল লাগছে। কিন্তু, আমাদের সময়ে বোর্ডের টাকা ছিল না।’
তাই পুরনো ক্রিকেটারদের চিকিৎসার কোনও বন্দোবস্ত বিসিসিআইয়ের তরফ থেকে না থাকার কথা উল্লেখ করে কপিলে বললেন, ‘এখনকার ক্রিকেটার অনেক অর্থউপার্জন করে। আগের ক্রিকেটারদের জন্য যদি একটা ট্রাস্ট তৈরি করা হয়, তাহলে ভালো হয়।’ কপিলের আশা, বোর্ড অংশুর পাশে এসে দাঁড়াবে। অংশুর জন্য যে কোনও সাহায্য সরাসরি হৃদয় থেকে আসা উচিত। ‘নৃশংস সব বোলারের সামনে দাঁড়িয়ে লড়ে গিয়েছে অংশু। নাকে-মুখে বলের আঘাত পেয়েছে। ওর পাশে দাঁড়ানোর এটাই আসল সময়। ক্রিকেটপ্রেমীরা ওর আরোগ্য কামনা করুক।’
প্রসঙ্গত, টিম ইন্ডিয়ার প্রাক্তন খেলোয়াড় অংশুমান গায়কোয়াড় ১৯৭৪ থেকে ১৯৮৪ সালের মধ্যে মোট ৪০ টি টেস্ট ম্যাচ খেলেছিলেন, যার মধ্যে তিনি ২৯.৬৩ গড়ে ১৯৮৫ রান করেছিলেন। এই সময়ে গায়কোয়াড় ২ টি সেঞ্চুরি এবং ১০ টি হাফ সেঞ্চুরির ইনিংস খেলেছিলেন। একই সময়ে, অংশুমান গায়কোয়াড় ১৫টি ওয়ানডে খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন এবং একটি হাফ সেঞ্চুরি ইনিংস সহ ২০.৬৯ গড়ে ২৬৯ রান করেছিলেন।
(Feed Source: zeenews.com)