জম্মু ও কাশ্মীরের ডোডায় জঙ্গিদের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে মৃত্যু হল ভারতীয় সেনার চার জওয়ানের। সূত্র উদ্ধৃত করে সংবাদসংস্থা পিটিআইয়ের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, সোমবার রাতের দিকে ডোডায় যে গুলির লড়াই শুরু হয়, তাতে সেনার পাঁচ জওয়ান গুরুতরভাবে আহত হন। ভোররাতের দিকে তাঁদের মধ্যে চারজনের মৃত্যু হয়েছে। শহিদ জওয়ানদের মধ্যে একজন অফিসারও আছেন। আপাতত সরকারিভাবে তাঁদের পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি।
সোমবার সন্ধ্যার পরে এনকাউন্টার শুরু ডোডায়
ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, আধিকারিকরা জানিয়েছেন যে নির্দিষ্ট গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে সোমবার সন্ধ্যা ৭ টা ৪৫ মিনিট নাগাদ ডোডা টাউনের ৫৫ কিলোমিটার দূরে দেসা জঙ্গল এলাকায় তল্লাশি অভিযান শুরু করেন ভারতীয় সেনার রাষ্ট্রীয় রাইফেলসের জওয়ান এবং জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের স্পেশাল অপারেশনস গ্রুপের জওয়ানরা। তল্লাশি অভিযানের মধ্যেই জঙ্গিদের সঙ্গে গুলির লড়াই শুরু হয়।
ওই আধিকারিকরা জানিয়েছেন, প্রাথমিকভাবে প্রায় ২০ মিনিট ধরে গুলির লড়াই চলে। তারপরে জঙ্গিরা পালানোর চেষ্টা করে। উঁচু এলাকা এবং ঘন জঙ্গল সত্ত্বেও তাদের ধাওয়া করেন যৌথ নিরাপত্তা বাহিনীর জওয়ানরা। প্রাকৃতিক দিক থেকে অত্যন্ত কঠিন পরিস্থিতি হলেও জঙ্গিদের পাকড়াও করতে কোনওকিছুর পরোয়া করেননি তাঁরা। যে বাহিনীর নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন সেনার এক অফিসার।
সেই পরিস্থিতিতে রাত ন’টা নাগাদ জঙ্গলের মধ্যে ফের গুলির লড়াই শুরু হয়। এনকাউন্টারে সেনার পাঁচ জওয়ান গুরুতর আহত হন। পরে চারজনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন আধিকারিকরা। পুলিশের এক মুখপাত্র বলেন, ‘রাত ন’টা নাগাদ জঙ্গিদের সঙ্গে প্রবল গুলির লড়াই শুরু হয়।’
আজ সকালে ডোডার পরিস্থিতি ঠিক কীরকম আছে?
সংবাদসংস্থা এএনআইয়ের ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে যে রাস্তায় সেনার একাধিক দাঁড় করানো আছে। চারিদিকটা একদম শান্ত। কিছুক্ষণ পরেই অন্য একটি জায়গা যেতেই পরপর গুলি চালানোর আওয়াজ শোনা যায়। যদিও সকালের পরিস্থিতি নিয়ে নতুন করে জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ বা সেনার তরফে কিছু জানানো হয়নি।
জম্মু ও কাশ্মীরে পরপর জঙ্গি হামলা
গত ৯ জুন থেকে চারদিনে চারটি জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটে। ৯ জুন তৃতীয়বারের জন্য প্রধানমন্ত্রী হিসেব শপথগ্রহণ করেন নরেন্দ্র মোদী। রিয়াসি, ডোডা এবং কাঠুয়া জেলায় জঙ্গি হামলার ঘটনায় মোট নয়জন সাধারণ নাগরিক এবং একজন সিআরপিএফ জওয়ানের মৃত্যু হয়। নিরাপত্তা বাহিনীর সাত আধিকারিক-সহ ৪৯ জন আহত হন। কাঠুয়ায় খতম করা হয় দুই জঙ্গিকেও। ২৬ জুন ডোডায় ফের এনকাউন্টার হয়। তাতে নিকেশ করা হয় তিন জঙ্গিকে।
তারইমধ্যে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছেন যে ‘জিরো টেরর’ পরিকল্পনার মাধ্যমে যেভাবে কাশ্মীর উপত্যকায় সন্ত্রাসবাদকে নিয়ন্ত্রণে আনা গিয়েছে, ঠিক সেই কাজটাই করতে হবে জম্মু ডিভিশনে। একইসুরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে অল-আউট যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
(Feed Source: hindustantimes.com)