শিক্ষিকাদের গাফিলতির জের, কয়েক ঘণ্টা তালাবন্ধ অবস্থায় থাকতে হল ৪ বছরের শিশুকে!

শিক্ষিকাদের গাফিলতির জের, কয়েক ঘণ্টা তালাবন্ধ অবস্থায় থাকতে হল ৪ বছরের শিশুকে!

Sarvesh Dubey

প্রয়াগরাজ: সম্প্রতি সঙ্গম শহর প্রয়াগরাজের যমুনাপার এলাকার একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষিকাদের গাফিলতির ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। যার জেরে লোহারা এলাকার ওই স্কুলে কয়েক ঘণ্টা তালাবন্ধ অবস্থায় থাকতে হয়েছে ৪ বছর বয়সী শিশু শিবাংশ পালকে। আসলে স্কুল ছুটি হয়ে যাওয়ার পরে তাড়াহুড়োর মাঝে বাচ্চাটিকে স্কুলে তালাবন্ধ অবস্থায় রেখেই বাড়ি চলে যান শিক্ষিকারা।

আসলে শিবাংশ নামের ওই শিশুটি তার দিদি শিবানীর সঙ্গে স্কুলে গিয়েছিল। যদিও এখনও স্কুলের খাতায় শিবাংশের নাম ওঠেনি। এদিকে শিশুটি বাড়ি না পৌঁছনোয় উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন তার পরিবারের সদস্যরা। মা-বাবা এবং আত্মীয়স্বজনরা সকলে নিলে শিবাংশের খোঁজ করতে শুরু করেন। কিন্তু তাঁকে কোথাও পাওয়া যায়নি। এরপর দুপুর ২টো নাগাদ গ্রামেরই অনুপ নামে এক তরুণ স্কুল থেকে বাচ্চার কান্নার আওয়াজ পান। আর তখনই তিনি স্কুলের পাঁচিল টপকে ভিতরে প্রবেশ করেন। একটি শিশুকে কাঁদতে দেখে গোটা ঘটনাটি গ্রামবাসীদের জানান। এর কিছু পরেই গ্রামের বাসিন্দারা এবং শিশুটির পরিবারও স্কুলে পৌঁছন। এবার বিএসএ-র নির্দেশ পেয়ে স্কুলে পৌঁছন শিক্ষিকারাও। তাঁরা তালা খুলে দেন। ফলে নিরাপদেই বাড়ির লোকেরা উদ্ধার করতে পেরেছে শিশুটিকে।

যদিও এই ঘটনায় স্কুলের শিক্ষিকাদের উপর যারপরনাই ক্ষুব্ধ শিশুটির পরিবার এবং গ্রামবাসীরাও। এহেন গাফিলতির জেরে শিক্ষিকাদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য তাঁরা আর্জিও জানিয়েছেন প্রাথমিক শিক্ষা আধিকারিকের কাছে।

গ্রামবাসীদের অভিযোগ, স্কুল ছুটি হওয়ার সময় দুপুর ২টো। অথচ সকাল সাড়ে ১১টার মধ্যেই স্কুল ছুটি দিয়ে বাড়ি চলে গিয়েছেন শিক্ষিকারা। এই বিষয়েও তদন্তের দাবি জানিয়েছেন গ্রামের লোকেরা। এখানেই শেষ নয়, তাঁদের অভিযোগ, মেজা লোহারার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকারা হামেশাই দেরিতে স্কুলে আসেন। উচ্চ আধিকারিকদের বারংবার অভিযোগ জানানো সত্ত্বেও কোনও কাজ হয়নি।

প্রাথমিক শিক্ষা আধিকারিক প্রবীণ কুমার তিওয়ারি এই বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন বলে জানান। তাঁর কথায়, লোহারা মেজার এই প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষিকা-সহ মোট ৪ জন শিক্ষিকা রয়েছেন। সরকারি ডিউটিতে গিয়েছেন প্রধান শিক্ষিকা। একজন শিক্ষিকা আবার রয়েছেন মাতৃত্বকালীন ছুটিতে। তবে আপাতত দায়িত্বে থাকা প্রধান শিক্ষিকা জুলি এবং অন্য এক শিক্ষিকা ললিতাকে সাসপেন্ড করেছেন প্রবীণ কুমার তিওয়ারি। সেই সঙ্গে ঘটনার তদন্তের নির্দেশও দিয়েছেন।

(Feed Source: news18.com)