জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: বদ্রীনারায়ণে ভেঙে পড়ল নির্মীয়মাণ সেতু। আজ, বৃহস্পতিবার এই ভয়ংকর ঘটনাটি ঘটেছে। বিহারের পর এবার উত্তরাখণ্ডে। তবে একটাই স্বস্তির খবর, ঘটনায় কোনও প্রাণহানি ঘটেনি। অল ওয়েদার রোড প্রকল্পের আওতায় সেতুটি তৈরি হচ্ছিল। ১১০ মিটার দীর্ঘ এই সিগনেচার ব্রিজটি উত্তরাখণ্ডের রুদ্রপ্রয়াগ জেলার নারকোটা অঞ্চলে বদ্রীনাথ হাইওয়ের উপর তৈরি হচ্ছিল। ২০২১ সাল থেকে এর নির্মাণকাজ চলছে।
এখানে প্রতিদিন মোটামুটি জনাচল্লিশেক শ্র্মিক কাজ করেন। তবে, সৌভাগ্যের কথা যে, আজ সেখানে কেউ কাজ করছিলেন না। ইতিমধ্যেই এই নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। শুরু হয়েছে তদন্ত।
এর আগে মাত্র ১৫ দিনে ৯ টি সেতু ভেঙে পড়েছিল বিহারে। সরণ ও সিওয়ান জেলায় যে ৩টি সেতু ভেঙে পড়েছিল, সেগুলি প্রায় ৩০ থেকে ৮০ বছর আগে তৈরি হয়েছিল। তবে সেতু ভেঙে কোনও প্রাণহানির খবর পাওয়া যায়নি। কতটা নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে তৈরি হয়েছিল এই সব সেতু, উঠেছিল প্রশ্ন!
বিহারেও উদ্বোধনের আগেই হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়েছিল একটি সেতু। ১২ কোটি এক লপ্তে জলে গিয়েছিল! একদিকে সিক্তি ব্লক, অন্য় দিকে কুরসাকান্ত। মাঝখান দিয়ে বয়ে চলেছে বাকরা নদী। এখানে, বিহারের আবারিয়া জেলায় নদীর উপর ১২ কোটি টাকা খরচ করে তৈরি করা হয়েছিল সেতু। সেতুর কাছেই খেলছিল শিশুরা। ঘটনার দিনে বিকেলে যখন সেতুর একটি অংশ ভেঙে পড়ে তখনই মোবাইল হাতে দ্রুত সেতুর দিকে ছুটে যায় তারা। ঘটনাটি মোবাইলবন্দি হয়। ততক্ষণে অবশ্য সেতুর ভেঙে পড়া অংশের উপর দিয়ে বইতে শুরু করেছে নদী। এরপর সেতুটির বাকি অংশটিও ভেঙে পড়ে। ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছিল, সেতুর মাঝের একটি পিলার কোনও ভাবে অক্ষত থেকে গিয়েছিল।
এর আগে বিহারের সুপলে এলাকায় ভেজা এবং বাকাউরের মাঝামাঝি মারিচা নামে একটি জায়গায় ঘটেছিল একই ঘটনা। কোশি নদীর উপর ৯৮৪ কোটি টাকা ব্যয়ে তৈরি হচ্ছিল সেতু। ভাগলপুরের নির্মীয়মান আগুয়ানি-সুলতানগঞ্জ সেতু ভেঙে পড়েছিল দু’বার।
বিহারে পর-পর সেতু ভেঙে পড়ার ঘটনায় লালুপুত্র তথা আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারকে নিশানা করেছিলেন। আবার সেতু ভেঙে পড়ার ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার বিহারের সড়ক নির্মাণ ও গ্রামীণ উন্নয়ন দফতরকে অবিলম্বে রাজ্যের পুরনো সেতুগুলির স্বাস্থ্য় সমীক্ষার নির্দেশ দিয়েছিলেন।
(Feed Source: zeenews.com)