‘বিজেপিতে নতুন এসেছেন!’ শুভেন্দুকে পাল্টা দিলেন বিজেপির সংখ্যালঘু মোর্চার প্রধান

‘বিজেপিতে নতুন এসেছেন!’ শুভেন্দুকে পাল্টা দিলেন বিজেপির সংখ্যালঘু মোর্চার প্রধান

নয়াদিল্লি: গত বুধবার কলকাতায় দলীয় বৈঠকেই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেছিলেন, ‘সব কা সাথ, সব কা বিকাশ’ নীতির সঙ্গে তিনি সহমত নন৷ দলের সংখ্যালঘু মোর্চারও কোনও প্রয়োজন নেই বলে দাবি করেছিলেন শুভেন্দু৷

বিরোধী দলনেতার এই মন্তব্য নিয়ে বিজেপির অন্দরেই ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছিল৷ এবার বিজেপির সংখ্যালঘু মোর্চার সর্বভারতীয় সভাপতি জামাল সিদ্দিকি৷ শুভেন্দুর মন্তব্যের কড়া সমালোচনা করে তাঁর কটাক্ষ, ‘শুভেন্দু হয়তো বিজেপিতে নতুন বলেই এমন মন্তব্য করেছেন৷ বিজেপিতে আসার আগে শুভেন্দু যেহেতু তৃণমূলে ছিলেন, সেই সংস্রব থেকেও শুভেন্দু এমন মন্তব্য করে থাকতে পারেন বলে দাবি করেছেন জামাল সিদ্দিকি৷

বিজেপির সংখ্যালঘু মোর্চার প্রধান সিদ্দিকি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে দেওয়া সাক্ষাকারে বলেন, ‘আমার মনে হয় শুভেন্দু অধিকারী ভুল করেই এরকম মন্তব্য করেছেন৷ তাছাড়া শুভেন্দু অধিকারী বিজেপির পুরোন নেতা নন, মাটির সঙ্গেও তাঁর খুব একটা যোগাযোগ নেই৷ তার উপর উনি তৃণমূল থেকে বিজেপিতে এসেছেন৷৷ মানুষ যেখান থেকে আসে, তার পরিচয়ে সেটাই ফুটে ওঠে৷’

বিজেপির বৈঠকে শুভেন্দু অধিকারী বলেছিলেন, ‘যাঁরা আমাদের পাশে থাকবে, আমরা তাঁদের পাশে থাকব৷ সংখ্যালঘু মোর্চার কোনও প্রয়োজন নেই৷’ পরে অবশ্য সমাজমাধ্যমে পোস্ট করে শুভেন্দু দাবি করেন, তাঁর মন্তব্যের অপব্যাখ্যা করা হচ্ছে৷ প্রধানমন্ত্রী সবকা সাথ, সব কা বিকাশ, সবকা বিকাশের নীতিতে তিনি অন্তর থেকে বিশ্বাস করেন বলেও দাবি করেছিলেন শুভেন্দু৷

কিন্তু খোদ প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া স্লোগান তিনি যেভাবে খারিজ করার নিদান দেন, তাতে বিজেপির অন্দরেও জোর বিতর্ক শুরু হয়৷ এমন কি, সর্বভারতীয় স্তরেও শুভেন্দুর এই মন্তব্যে শোরগোল পড়ে যায়৷

শুভেন্দু অধিকারীকে জবাব দিতে গিয়ে জামাল সিদ্দিকি বলেন, ‘আমার মনে হয় সবকা সাথ, সবকা বিকাশের নীতি বিজেপির আত্মা৷ শরীর থেকে আত্মাকে বিচ্ছিন্ন করলে বিজেপি দলটাই থাকবে না বলে আমার মত৷ বিজেপির উদ্দেশ্যে হল মানুষের সেবা করা, ক্ষমতা দখল নয়৷ ক্ষমতায় থাকলে আরও ভাল করে মানুষের সেবা করা যায়৷ প্রধানমন্ত্রী সবসময়ই বলেছেন, যাঁরা আমাদের ভোট দেন না তাঁদের জন্যও আমাদের কাজ করতে হবে৷’

বিজেপির গঠনের পর পরই ১৯৮০ সালে দলের সংখ্যালঘু মোর্চা শাখা খোলা হয়৷ যার মূল উদ্দেশ্য ছিল বিজেপির নীতি আদর্শ সম্পর্কে মুসলিমদের অবহিত করা৷ যদিও বিজেপি রাম জন্মভূমি আন্দোলন শুরুর পর এবং বাবরি মসজিদ ধ্বংসের পর দলের সংখ্যালঘু মোর্চা খুব বেশি সাফল্য পায়নি৷

(Feed Source: news18.com)