বাংলার হারিয়ে যেতে বসা ডিঙি নৌকা স্থান পাবে গুজরাটের মিউজিয়ামে,সহযোগিতায় ব্রিটেন

বাংলার হারিয়ে যেতে বসা ডিঙি নৌকা স্থান পাবে গুজরাটের মিউজিয়ামে,সহযোগিতায় ব্রিটেন

হারিয়ে যেতে বসা বাংলার ছোট নৌকা এবার স্থান পাবে গুজরাটের মিউজিয়ামে। আপাতত সেই নৌকাকে হাওড়ার শ্যামপুরের ডিহিমণ্ডলঘাট থেকে নদীপথে কলকাতার দিকে রওনা দেবে। এরপর সেই নৌকা সাময়িকভাবে কলকাতা বন্দরে রাখা হবে। সেখান থেকে এটা গুজরাটে পাড়ি দেবে। গুজরাটের ন্যাশানাল মেরিটাইম মিউজিয়ামে এই নৌকা রাখা হবে। তবে এখনও গুজরাটের সেই মিউজিয়াম তৈরি হয়নি। সেকারণে সেই ছোট নৌকাটি আপাতত কলকাতার বন্দরেই রাখা হবে।

গত বছরের ১০ নভেম্বর এই নৌকাকে জলে ভাসানো হয়েছিল। শ্যামপুরের ডিহিমণ্ডল ঘাটের বাসিন্দা সত্তর বছরের নৌকাশিল্পী পঞ্চানন মণ্ডল এই নৌকা তৈরি করেছিলেন। তারপর থেকে পড়েই ছিল নৌকাটি। তবে এবার সেই নৌকাই নিয়ে যাওয়া হবে গুজরাটে।

ভারতের অ্যানথ্রোপলজি বিভাগের গবেষক স্বরূপ ভট্টাচার্য সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, গুজরাটের মিউজিয়ামটি এখনও তৈরি হয়নি। এখন সেখানে গেলে পড়ে পড়ে নষ্ট হয়ে যেতে পারে। সেকারণে আপাতত সেই নৌকাকে কলকাতা বন্দরে রাখা হবে। ন্যাশানাল মেরিটাইম মিউজিয়াম তৈরি হয়ে গেলে সেই নৌকা গুজরাটে নিয়ে যাওয়া হবে। মিউজিয়ামে নৌকা ও তার সম্পর্কিত যাবতীয় তথ্য সংরক্ষিত করা থাকবে।

স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য শেখ মাসাদুর রহমান জানিয়েছেন, মাছ ধরার ছোট ডিঙি নৌকাটি মিউজিয়ামে রাখা হবে শুনে ভালো লাগছে। তবে এটা আরও আগে নিয়ে গেলে ভালো হত।

এই নৌকাটি ৩৫ ফুট লম্বা , ৯ ফুট চওড়া ও ৮ ফুট উচ্চতার। প্রায় এক মাস ধরে এই নৌকা তৈরি করা হয়েছে। ইংল্যান্ডের সংস্থা ইএমকেপি ও ভারতের যৌথ উদ্যোগে এই নৌকা তৈরি করা হয়েছিল।

ব্রিটেনের এক অধ্য়াপক এই নৌকা তৈরির কাজ দেখাশোনা করেছিলেন। ভারতের হরিয়ানা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অধ্য়াপক বসন্ত সিন্ধে, ব্রিটেনের এক বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র জিসান আলি শেখ, ভারতের অ্যানথ্রোপলজি বিভাগের গবেষক স্বরূপ ভট্টাচার্য এই নৌকা তৈরির কাজে প্রয়োজনীয় দেখাশোনা করেন। এরপর ধাপে ধাপে নৌকাটি তৈরি করা হয়। এমনকী নৌকাটি কীভাবে তৈরি করা হয়েছে তার বিভিন্ন ধাপকে ক্যামেরাবন্দি করা হয়। সেটা রাখা হবে ব্রিটিশ মিউজিয়ামে।

একটা সময় ছিল বাংলার নদীতে চলত নানা ধরনের নৌকা। তবে সেসব দিন আজ আর নেই। বহু নদী নাব্যতা হারিয়েছে। নৌকার বৈচিত্র আর সেভাবে নেই। তবে শতবর্ষপ্রাচীন নৌকার ডিজাইন যাতে হারিয়ে না যায় সেজন্য এই উদ্যোগ।

(Feed Source: hindustantimes.com)