গাড়িতে চড়লেই ‘ঘুম’ পায় কেন বলুন তো? জানেন কী বলে বিজ্ঞান? চমকে দেবে ‘আসল’ কারণ

গাড়িতে চড়লেই ‘ঘুম’ পায় কেন বলুন তো? জানেন কী বলে বিজ্ঞান? চমকে দেবে ‘আসল’ কারণ

Sleep: দেখা যায়, গাড়ি হোক বা ট্রেন, বাস হোক বা বাইক যেখানেই বসুক না কেন চোখ ঘুমে ঢুলে আসে। যদিও এই বাইক কিংবা বাসে বসে ঘুমনো কোনও কোনও ক্ষেত্রে খুবই বিপজ্জনক। কিন্তু এর পিছনে কারণটাই বা কী?

সাধারণ জ্ঞান মানুষকে প্রতি মুহূর্তে নতুন কিছু যেমন শেখায়, তেমনই এই জ্ঞানের সূত্র ধরেই আবার জানা যায় চেনা বিষয়ের অজানা কারণ। জানা ঘটনাকেই নতুন করে ভাবতে শেখায় জেনারেল নলেজ। এই প্রতিবেদনে এক স্বাভাবিক দৈনন্দিন জীবনের চেনা ঘটনার কারণ খুঁজে নেওয়া যাক আজ

মানুষের দ্রুতগামী জীবনে প্রত্যেকেই যেন ছুটছি। সকলেরই কাজ বেশি, ক্লান্তিও। আর কাজ সামাল দিতে গিয়ে বাড়ছে ঘুমের ঘাটতি। তাই ঘুমও পায় বেশি। এই ঘুম নিয়েই এক মজার প্রশ্নের উত্তর খোঁজা যাক। আচ্ছা বলুন তো কেন গাড়িতে উঠলেই ঘুম পায় কিছু মানুষের।

দেখা যায়, গাড়ি হোক বা ট্রেন, বাস হোক বা বাইক যেখানেই বসুক না কেন চোখ ঘুমে ঢুলে আসে। যদিও এই বাইক কিংবা বাসে বসে ঘুমনো কোনও কোনও ক্ষেত্রে খুবই বিপজ্জনক। কিন্তু এর পিছনে কারণটাই বা কী?

এ নিয়ে এ যাবৎ বিভিন্ন গবেষণা হয়েছে। গবেষণায় অনেক কিছুই উঠে এসেছে। এই ঘটনার পিছনে অনেকগুলি কারণ উল্লেখ করা হয়েছে যেমন, স্লিপ ডেবট, একঘেয়েমি এবং হাইওয়ে হিপনোটিজম ইত্যাদি।

সাধারণত ভ্রমণের আগে অনেক প্রস্তুতি নিতে হয়। কিছু ভুলে যাচ্ছি না তো, এই চিন্তায় ব্যক্তি পর্যাপ্ত ঘুমাতে পারেন না। একে ঘুমের ঋণ বলে। এটাই ঘুমের সবচেয়ে বড় কারণ বলে মনে করা হয়। এবার বুঝুন এর পেছনের বিজ্ঞান।

দ্য কনভারসেশনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলন্ত গাড়িতে ঘুম তখনই পায় যখন আমরা কিছু করা থেকে বিরত থাকি। ঠিক যেমন রাতে ঘুমানোর সময় মন ও শরীর শিথিল হতে থাকে।ঠিক যে ভাবে শৈশবে শিশুদের শরীর কাজ করে। আর তৎক্ষণাৎ মা-বাবা শিশুকে কোলে তুলে ঘুম পাড়িয়ে দেন।

বিজ্ঞানের ভাষায় এই অবস্থাকে হাইওয়ে হিপনোসিস বলা হয়। এটি কেবল চালকদের সঙ্গেই ঘটে এবং দীর্ঘ দূরত্বের যাত্রায় গাড়ি চালানোর সময় তাঁরা প্রায়ই ঘুমিয়ে পড়তে শুরু করেন বা চোখ বুজে আসে।

অনেক সময় চা-কফি খেয়ে এই ঘুম কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করেন তাঁরা। ভ্রমণের সময় ঘুমিয়ে পড়ার তৃতীয় কারণ হল ‘সাদা আওয়াজ’। হোয়াইট নয়েজ হল সেই শব্দ যা ইঞ্জিনের আওয়াজ, বাতাসের গর্জন এবং গাড়িতে গান বাজানোর ফলে উৎপন্ন হয়।

এমন আওয়াজে কীভাবে মানুষ ঘুমিয়ে পড়ে তা জানার চেষ্টা করছেন বিজ্ঞানীরা। বিজ্ঞানীরা বলছেন, শৈশবে শিশুকে ঘুম পাড়ানোর সময় বাবা-মাও বিভিন্ন ধরনের শব্দ করেন বা লালাবাই গান করেন এবং সেগুলি শুনে শিশু ঘুমিয়ে পড়ে। এটাও খানিকটা সেরকম। তবে ঠিক কী কারণে এমনটা হয় তা স্পষ্ট জানা যায়নি।

বিজ্ঞানীরা বলছেন, দীর্ঘ ভ্রমণে ঘুম আসাটাই স্বাভাবিক। যদি কেউ ১০ থেকে ১৫ মিনিটের যাত্রার সময়ও ঘুমিয়ে পড়ে, তবে তিনি ‘স্লিপ অ্যাপনিয়া সিন্ড্রোমে’ আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। এটি একটি স্নায়বিক ব্যাধি। যে রোগে ব্যক্তি প্রায়ই ক্লান্ত বোধ করেন।

বস্তুত এই ঘুমের মূল কারণ হল ক্লান্তি। শরীর অতিরিক্ত ক্লান্ত থাকলে এবং ঘুম না হলেই চলন্ত বাসে ঘুম বেশি পায়। পরিশ্রম ছাড়াও অতিরিক্ত শব্দ, দীর্ঘক্ষণ ঝাঁকুনি স্নায়ুকে দুর্বল করে দেয়। ফলে ঘুম চলে আসে।

আবার কখনও কখনও এক জায়গায় অনেকক্ষণ হেলান দিয়ে বসে থাকলেও ঘুম আসে। যদিও ঘুম হচ্ছে মস্তিষ্কের বিশ্রাম। মস্তিষ্ক বিশ্রাম চাইলে ঘুম আসা স্বাভাবিক।

বিশেষজ্ঞদের মতে একনাগাড়ে ঝাঁকুনির ফলে স্নায়ু একটি ছন্দে চলে যায়, সেইসময় মস্তিষ্ক বিশ্রাম চায়। আর সেই কারণেও ঘুম পায়। ঠিক যে কারণের জন্য বাচ্চাদের দোলনায় ঘুম পাড়ানোর চেষ্টা করা হয়।

আবার পুষ্টির অভাব থেকেও ঘুম আসতে পারে। ড্রাইভিং করার আগে স্বাস্থ্যকর খাবার খেয়ে নিতে পারেন। এতে আপনি দীর্ঘক্ষণ জেগে থাকার শক্তি পাবেন। প্রয়োজনে চকোলেট খান, ওআরএস খান। এতেও শরীরে জোর পাবেন।

ডিসক্লেইমার: এই খবরের সঙ্গে সম্পর্কিত তথ্য নিউজ 18 বাংলা নিশ্চিত করে না। বিশেষত আপনার সাধারণ জ্ঞান বৃদ্ধি করাই আমাদের এই প্রতিবেদনের মূল উদ্দেশ্য। আমরা বিভিন্ন নির্ভরযোগ্য ওয়েবসাইট থেকে আপনার জন্য এই ধরনের তথ্য সংগ্রহ করার চেষ্টা করেছি। এই সংক্রান্ত চূড়ান্ত জ্ঞানের জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞের মত নেওয়া কাম্য।

(Feed Source: news18.com)