#কলকাতা: ভারতীয় ফুটবলে তিনি এখন মধ্যগগনে বিরাজ করছেন। প্রতিষ্ঠ সুপারস্টার। বাইচুং ভুটিয়া মানে ভারতীয় ফুটবলের শেষ কথা। বাচ্চা ছেলেটা তখন সবে নতুন। বাইচুং মেনে নিচ্ছেন সুনীল ছেত্রীকে দেখে প্রথমদিকে মনে হয়নি এই ছেলে একদিন এই পর্যায়ে পৌঁছবে’। বাইচুং ভুটিয়ার অধিনায়কত্বেই ২০০৫ সালে দেশের জার্সিতে অভিষেক ঘটেছিল সুনীল ছেত্রীর।
তারপর জাতীয় দলের আপফ্রন্টে তাঁরাই ছিলেন প্রধান ভরসা। দেশের জার্সিতে প্রায় ৬ বছর এক সঙ্গে কাটিয়েছেন তাঁরা। এই পর্বে খুব কাছ থেকে বর্তমান ভারত অধিনায়ককে দেখেছেন বাইচুং। ২০১১ সালে তিনি অবসর নেওয়ার পর ভারতীয় ফুটবল হয়ে ওঠে পুরোপুরি সুনীল নির্ভর। এক দশকেরও বেশি সময় ধরে একার কাঁধে দলকে টেনে চলেছেন তিনি। তাঁর নামের পাশে এখন ৮৩ গোল।
বর্ণময় ফুটবল কেরিয়ারের ১৭ বছর পূর্ণ হল রবিবার। আর সেই বিশেষ মুহূর্তে সুনীল ছেত্রীকে অভিনন্দন জানাতে ভুললেন না বাইচুং ভুটিয়া। পাহাড়ি বিছে জানান, ওকে অনেক অনেক অভিনন্দন। আন্তর্জাতিক ফুটবলে টানা ১৭ বছর খেলা চালিয়ে যাওয়া মুখের কথা নয়। এর জন্য প্রয়োজন কঠোর পরিশ্রম ও তুখোড় ফিটনেস।
সেই দিক থেকে সুনীল যেভাবে প্রতিনিয়ত নিজেকে মেলে ধরছে, তা এক কথায় অতুলনীয়। ওর জন্য সত্যিই গর্ব হচ্ছে। ও অসাধারণ নেতা। আশা করব, যতদিন মাঠে থাকবে এই ধারাবাহিকতা বজায় রাখবে। দেশের জার্সিতে আরও গোল করুক, এটাই আমার প্রত্যাশা। চলতি এএফসি এশিয়ান কাপের বাছাই পর্বে দুরন্ত ফর্মে ভারত অধিনায়ক। দু’ম্যাচে তাঁর নামের পাশে তিনটি গোল।
যদিও এই বিষয়ে বাইচুংয়ের বক্তব্য, শুধুমাত্র সুনীলের দিকে তাকিয়ে থাকলে চলবে না, বাকিদেরও দায়িত্ব নিতে হবে। তাঁর কথায়, এই বয়সেও যেভাবে নিয়মিত গোল করে চলেছে সুনীল, তা সত্যিই প্রশংসনীয়। তবে ওর উপর অতিরিক্ত নির্ভরতা কমাতে হবে। আর সে জন্য বাকিদেরও দায়িত্ব নিতে হবে।
চলতি এশিয়ান কাপের বাছাই পর্বে স্টিমাচ-ব্রিগেডের পারফরম্যান্সও মনে ধরেছে বাইচুংয়ের। বিশেষত দলের তরুণ ফুটবলাররা যেভাবে দেশের জার্সিতে নিজেদের মেলে ধরছেন, তাতে বেশ উচ্ছ্বসিত তিনি। বাইচুং মনে করেন সুনীল যে জায়গায় নিজের ফিটনেস এবং মানসিকতা ধরে রেখেছেন তাদের আরো দুটো বছর ফুটবল চালিয়ে যেতে পারবেন তিনি। কিন্তু পাশাপাশি ভারতকে গোল করার লোক তৈরি করতে হবে জানিয়েছেন সিকিমিজ স্নাইপার।