উত্তরাখণ্ডের দুটি জায়গায় মেঘ ফেটেছে, তেহরিতে দু’জনের মৃত্যু হয়েছে এবং কেদারনাথে 150 থেকে 200 যাত্রী আটকা পড়েছে।

উত্তরাখণ্ডের দুটি জায়গায় মেঘ ফেটেছে, তেহরিতে দু’জনের মৃত্যু হয়েছে এবং কেদারনাথে 150 থেকে 200 যাত্রী আটকা পড়েছে।

নতুন দিল্লি : উত্তরাখণ্ডে বুধবার সকাল থেকে ভারী বৃষ্টির কারণে দুটি ভিন্ন জায়গায় মেঘ ফেটে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। তেহরির ঘানসালিতে মেঘ বিস্ফোরণের ঘটনায় দুইজনের মৃত্যু হয়েছে এবং একজন আহত হয়েছে। এছাড়াও, কেদারনাথ হাঁটার পথে ভীম বালি গাদেরায় মেঘ ফেটে প্রায় 150 থেকে 200 মানুষ আটকা পড়েছে। উত্তরাখণ্ডে গত ২৪ ঘণ্টা ধরে একটানা ভারী বৃষ্টি হচ্ছে। এ কারণে পাহাড় থেকে সমতল পর্যন্ত শুধু পানি দেখা যাচ্ছে।

তেহরি জেলার ঘানসালিতে মেঘ ফেটে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে এবং আরও একজন আহত হয়েছে। তথ্য অনুযায়ী, ঝাঁসালি বিধানসভা কেন্দ্রের জাখানিয়ালির নাউতার গাদেরে মেঘ ফেটে যাওয়ায় গাদেরের কাছে একটি হোটেল এবং মুয়ালগাঁওয়ের ঘানসালি-চিরবিটিয়া সড়কের সংযোগকারী কালভার্টটি ভেসে গেছে। এখানে একই পরিবারের তিনজন নিখোঁজ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে, যার মধ্যে দুইজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। একজন আহত হয়েছেন। নিহতরা স্বামী-স্ত্রী এবং আহতরা তাদের ছেলে বলে জানা গেছে। ভানু প্রসাদ (50) এবং নীলম দেবী (45) মারা গেছেন এবং তাদের 28 বছর বয়সী ছেলে ভিপিন আহত হয়েছেন।

প্রায় ৩০ মিটার অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে

অন্যদিকে, কেদারনাথ হাঁটার পথে ভীম বালির গাদেরায় মেঘ ফেটে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। পথে ভারি ধ্বংসাবশেষ ও বোল্ডার পড়ে গেছে। প্রায় ৩০ মিটার ফুটপাথ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রায় 150-200 যাত্রী সেখানে আটকা পড়েছে বলে জানা গেছে। দুর্ঘটনার পর পথচারী রুটে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। ভীম বালিতে ১৫০ থেকে ২০০ তীর্থযাত্রীর আটকে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর নেই। টানা বৃষ্টিতে কেদারনাথ ধামে মন্দাকিনী নদীর জলস্তর দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে।

নদীর পানি বৃদ্ধির পর মন্দিরটি খালি করা হয়েছে

ভীম বালিতে মেঘ ফেটে যাওয়ার পর উদ্ধারকারী দল ঘটনাস্থলে মোতায়েন করা হয়েছে। একইসঙ্গে গৌরীকুন্ড সেক্টর থেকে তথ্য পাওয়া গেছে যে নদীর পানি বৃদ্ধির কারণে গৌরী মাই মন্দিরটি খালি করা হয়েছে। সবাইকে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এছাড়া নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় পার্কিং খালি করা হয়েছে।

ঘটনার পর ঘটনাস্থলে এসডিআরএফ, এনডিআরএফ ও পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বিপর্যয় মোকাবিলা বিভাগ সম্পূর্ণ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে। ভারী বৃষ্টির কারণে হাসপাতালগুলোকেও সতর্ক অবস্থায় থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

(Feed Source: ndtv.com)