হাজারো বিতর্ক, ঝগড়া, রীতিমতো হাতাহাতি পেরিয়ে শেষ হল বিগ বস ওটিটির তৃতীয় অধ্যায়। শুক্রবার রাতে বিগ বস ওটিটি-র ট্রফি ছিনিয়ে নিলেন সানা মকবুল। শুরু থেকেই ট্রফির দৌড়ে এগিয়ে ছিলেন সানা। শুক্রবার গ্র্যান্ড ফিনালেতে অনিল কাপুর বিজয়ীর নাম ঘোষণা করেন। সাসপেন্স পর্ব শেষে ট্রফি জিতলেন সানা।
ট্রফি দখলের দৌড়ে সেরা তিনে পৌঁছেছিলেন সানা মকবুল, নায়েজি এবং রণবীর শোরে। তিরে এসে তরী ডোবে কঙ্কনার প্রাক্তন স্বামী। তৃতীয়স্থানেই শেষ করতে হয় অভিনেতাকে। ফাইনালে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই শেষে হার মানলেন নায়েজি। বিগ বসের লোভনীয় ট্রফি ছাড়াও বিজেয়ী হিসাবে ২৫ লক্ষ টাকা নগদ ঘরে নিয়ে গেলেন সানা।
বিগ বসের ঘরে সানার জার্নির ছিল উত্থান-পতনে ভরা। এমন সময় ছিল যখন রণবীর শোরে তাকে ‘নাগিন এবং খলনায়িকা’ বলে অভিহিত করেছিলেন এবং এমন সময় ছিল যখন প্রায় প্রতি সপ্তাহান্তে হোস্ট অনিল কাপুরের প্রশ্নবাণে জর্জরিত হতেন সানা। তবে বিগ বস ওটিটি থ্রি-তে নিজের মতামত নিয়ে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছিলেন সানা। সেটাই তাঁর জয়ের অন্যতম কারণ। বিশাল, নাইজি ও লাভকেশের সঙ্গে সানার বন্ধুত্ব নিয়েও প্রশ্ন উঠেছিল, কিন্তু কথায় আছে যার শেষ ভালো তার সব ভালো।
চূড়ান্ত পর্বটি শোয়ের পাঁচজন চূড়ান্ত প্রতিযোগীকে দিয়ে শুরু হয়েছিল- রণবীর শোরে, সানা মকবুল, সাই কেতন রাও, নায়েজি এবং কৃতিকা মালিক। কৃতিকাই প্রথমে বাদ পড়েন। সতীন ও বরের চেয়ে বেশিদূর এগালেও ট্রফি জয়ের স্বপ্ন অধরাই থাকল কৃতিকার। এরপর এলিমিনেট হন সাই কেতন রাও। সেরা তিন পৌঁছে স্বপ্ন ভাঙে রণবীরের।
গ্র্যান্ড ফিনালের অন্যতম আকর্ষণ ছিল রণবীর শোরে দাড়ি ছাড়াই নতুন লুকে আগমন। অনিল কাপুর যখন তাকে তার নতুন চেহারা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, তখন তিনি বলেছিলেন যে তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে যদি তিনি কখনও ফাইনালে পৌঁছান তবে তিনি দাড়ি কেটে ফেলবেন। এই প্রথম বিগ বস ওটিটি-র সঞ্চালক হিসাবে দেখা মিলল অনিল কাপুরের। প্রথম সিজন সঞ্চালনা করেছিলেন করণ জোহর, দ্বিতীয় সিজনে হোস্ট ছিলেন ভাইজান। তবে এবার আর সলমন এই দায়িত্ব কাঁধে নেননি। এই জার্নির অংশ হতে পেরে খুশি অনিল। তিনি বলেন, ‘বিগ বস ওটিটি থ্রি একটি অবিশ্বাস্য যাত্রা ছিল। এটি আমার মধ্যে সন্তান এবং পিতাকে বের করে এনেছে। আমি হেসেছি, কঠোর হয়েছি এবং আমি আবেগের রোলারকোস্টার অনুভব করেছি।’
২১ জুন থেকে শুরু হয়েছিল বিগ বিস ওটিটি-র এই সিজন। প্রায় দেড় মাসের সফর শেষে ট্রফি জিতলেন সানা। অন্যান্য প্রতিযোগীদের মধ্যে ছিলেন পৌলমী পোলো দাস, সানা সুলতান, বিশাল পাণ্ডে, চন্দ্রিকা গেরা দীক্ষিত, নীরজ গোয়াত এবং আরমান মালিক এবং তাঁর দুই স্ত্রী – পায়েল এবং কৃতিকা। আদনান শেখ ওয়াইল্ড কার্ড এন্ট্রি হিসাবে কয়েক সপ্তাহ পরে যোগ দিয়েছিলেন।
(Feed Source: hindustantimes.com)