চলচ্চিত্র নির্মাতা এসএস রাজামৌলির উপর ভিত্তি করে নির্মিত তথ্যচিত্র ‘মডার্ন মাস্টার্স’ সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে। এতে স্ত্রীর সঙ্গে ঘটে যাওয়া একটি দুর্ঘটনার কথা উল্লেখ করে সবাইকে চমকে দিয়েছেন পরিচালক।
রাজামৌলি জানিয়েছেন, ২০০৯ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘মাগধীরা’ ছবির সেটে তাঁর স্ত্রী রামা রাজামৌলির সঙ্গে এই দুর্ঘটনা ঘটেছিল।
রাজামৌলির স্ত্রী পেশায় একজন কস্টিউম ডিজাইনার এবং তিনি রাজামৌলির প্রতিটি ছবিতে পোশাক ডিজাইন করেন।
আমি খুব হতবাক, আমি কাঁদতে লাগলাম: রাজামৌলি
ঘটনাটি সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে রাজামৌলি বলেছিলেন যে তিনি সেই মুহুর্তে অত্যন্ত মর্মাহত হয়েছিলেন এবং কাঁদতে শুরু করেছিলেন। এই সময় তিনি তার পরিচিত প্রত্যেক ডাক্তারকে ডেকেছিলেন কারণ এই দুর্ঘটনার পরে তার স্ত্রীর প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছিল এবং তিনি কোমর থেকে অবশ হয়েছিলেন।
‘মাগধীরা’ ছবির সেটে স্ত্রীর সঙ্গে রাজামৌলি।
‘আমি এই সময়ে ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করিনি’
রাজামৌলি বলেন, ‘সবচেয়ে কাছের হাসপাতালটি 60 কিলোমিটার দূরে ছিল। আমি ভীষণ ভয় পেয়েছিলাম। আমার মাথায় বারবার একটা চিন্তা আসছিল যে আমি কি ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করছি আমাকে সাহায্য করার জন্য? কিন্তু আমি তা করিনি। আমি শুধু খারাপভাবে কেঁদেছিলাম। অবিরাম ডাক্তারদের ডাকতে থাকলাম এবং সেই সময়ে আমি যা করতে পারি তাই করেছি।
‘মাগধীরা’-র সেটে অভিনেতা রাম চরণ এবং অভিনেত্রী কাজল আগরওয়ালের সঙ্গে রাজামৌলি।
আমার কাজই আমার ঈশ্বর: রাজামৌলি
পরিচালক আরও বলেন, ‘একটা সময় ছিল যখন আমি আমার জীবনে কর্ম যোগ বেছে নিয়েছিলাম। আমার জন্য, আমার কাজ আমার ঈশ্বর. সিনেমার প্রতি আমার অনেক শ্রদ্ধা আছে। ‘বাহুবলী’ খ্যাত পরিচালক রাজামৌলি কয়েক বছর আগে এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন যে তিনি একজন নাস্তিক।
‘মডার্ন মাস্টার্স’-এ জুনিয়র এনটিআর সহ অনেক অভিনেতাই পরিচালক সম্পর্কে কথা বলেছেন।
‘মডার্ন মাস্টার্স’ মুক্তি পেয়েছে ২ আগস্ট
এই ডকুমেন্টারিতে রাজামৌলির দৃষ্টিভঙ্গি এবং তার কাজের পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দেওয়া হয়েছে। এতে পরিচালকের প্রতি তার দৃষ্টিভঙ্গি অভিনেতা প্রভাস, জুনিয়র এনটিআর এবং রাম চরণ সহ অনেক বড় অভিনেতার সাথে কথা বলে উপস্থাপন করা হয়েছে। ডকুমেন্টারিটি 2 আগস্ট নেটফ্লিক্সে প্রিমিয়ার হয়েছিল।