দেউলিয়া হওয়ার হাত থেকে বাঁচল বাইজু’স, খারিজ আমেরিকান ঋণদাতাদের আবেদন

দেউলিয়া হওয়ার হাত থেকে বাঁচল বাইজু’স, খারিজ আমেরিকান ঋণদাতাদের আবেদন

বড় জয়, মামলায় স্বস্তি পেয়েছে বাইজু’স। এবার কোম্পানির নিয়ন্ত্রণ ফিরে পাবেন বাইজু রবীন্দ্রন। শুক্রবার, বড় ত্রাণ দিয়েছে ন্যাশনাল কোম্পানি ল এপিয়েল ট্রাইব্যুনাল (এনসিএলএটি)। আর্থিক সংকটে পড়া শিক্ষা-প্রযুক্তি সংস্থা বাইজু’স-কে দেউলিয়া হওয়ার হাত থেকে বাঁচিয়েছে। বাইজু’স-এর প্রতিষ্ঠাতা বাইজু রবীন্দ্রনের আবেদনের শুনানি করে এনসিএলএটি এমনই একটি নির্দেশ দিয়েছে।

মার্কিন ঋণদাতাদের জন্য বড় ধাক্কা

বাইজু’স-এর কাছ থেকে ১ বিলিয়ন ডলার পাওনা রয়েছে মার্কিন ঋণদাতাদের। এদিকে, শুক্রবার একটি আপিল ট্রাইব্যুনাল বাইজু-এর বিরুদ্ধে দেউলিয়াত্বের প্রক্রিয়া বাতিল করেছে, যা প্রতিষ্ঠাতা বাইজু রবীন্দ্রনের জন্য একটি বড় জয় কিন্তু মার্কিন ঋণদাতাদের জন্য একটি ধাক্কা হতে পারে।

২০২২ সালে বাইজু-এর মূল্য ছিল ২২ বিলিয়ন ডলার, কিন্তু পরে বোর্ডরুম থেকে প্রস্থান, অডিটরের পদত্যাগ এবং অব্যবস্থাপনার অভিযোগে জর্জরিত হয়ে বিদেশী বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে জনসমক্ষে বিবাদের মতো সমস্যার সম্মুখীন হয়েছিল সংস্থাটি। এর পর থেকেই ধীরে ধীরে সূত্রপাত হয়েছিল পতনের। বোর্ড অফ কন্ট্রোল ফর ক্রিকেট ইন ইন্ডিয়া (বিসিসিআই) বলেছিল যে ১৯ মিলিয়ন ডলার স্পনসরশিপ ফি হিসাবে দেয়নি বাইজুস। এর পর থেকেই কোম্পানিটি দেউলিয়া হওয়ার মতো ভয়াবহতার মুখোমুখি হয়েছে। এই পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসার জন্য প্রাক্তন বিলিয়নেয়ার সিইও বাইজু রবীন্দ্রান যদিও বলেছিলেন কোম্পানির সহ-প্রতিষ্ঠাতা, তাঁর ভাই রিজু রবীন্দ্রন এই বিষয়টি নিষ্পত্তি করে ক্রিকেট বোর্ডকে বকেয়া অর্থ দিয়ে দেবে।

এরপরেই ন্যাশনাল কোম্পানি ল এপিয়েল ট্রাইব্যুনাল শুক্রবার বলেছে, দুই পক্ষ নিজেদের মধ্যে সবটা সামলে নেওয়ার কথা ভেবেছে। তাই বাইজু’স কোম্পানির দেউলিয়া হওয়ার কার্যক্রম চালিয়ে লাভ নেই। এই আদেশের পর এক বিবৃতিতে বাইজু’স বলেছে যে সিদ্ধান্তটি কোম্পানি এবং এর প্রতিষ্ঠাতাদের জন্য একটি বড় বিজয়।

কিন্তু বাইজুস গ্রুপ কোম্পানির কিছু মার্কিন ঋণদাতাদের প্রতিনিধি ইউএস ফার্ম গ্লাস ট্রাস্ট, বাইজুস-এর দেউলিয়া কার্যক্রমে স্থগিতাদেশের বিরোধিতা করেছে। তাদের দাবি,  রবীন্দ্রন এবং তার ভাই ক্রিকেট বোর্ডের পাওনা পরিশোধের জন্য ঋণদাতাদের অর্থ ব্যবহার করেছিলেন। কিন্তু রিজু ১ অগস্ট বলেছিলেন যে তিনি ব্যক্তিগত তহবিল থেকে ক্রিকেট বোর্ডের নিষ্পত্তির পরিমাণ পরিশোধ করেছেন। অন্য কারও থেকে লোন নেননি। সবটা খতিয়ে দেখে আপিল ট্রাইব্যুনালও বাইজু’স-র কথা মেনে নিয়েছে। গ্লাস ট্রাস্ট-এর অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে। তবে, অনুমান করা হচ্ছে যে শুক্রবারের আদেশের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আপিল করতে পারে গ্লাস ট্রাস্ট৷ যদিও এ প্রসঙ্গে কোনও নিশ্চিতকরণ করা হয়নি।

বাইজু’স, ২১ বেশি দেশে কাজ করে। করোনা মহামারী চলাকালীন অনলাইন শিক্ষা কোর্স অফার করে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিল। এই কোম্পানির সঙ্গে ১৬,০০০ শিক্ষক সহ প্রায় ২৭,০০০ কর্মচারী কাজ করেন।

(Feed Source: hindustantimes.com)