দেখতে দেখতে কেটে গেছে প্রায় ৩০ বছর। এখনও মানুষের প্রিয় সিনেমার তালিকায় একইভাবে জ্বল জ্বল করছে ‘হাম আপকে হ্যায় কৌন’ সিনেমাটির নাম। সেই গান, সেই প্রেম কাহিনী, এখনও যেন মানুষকে একই ভাবে আকর্ষণ করে। তবে যার জন্য এই সিনেমায় নায়ক নায়িকার মিলন সম্ভব হয়েছিল, সেই টাফি কিন্তু ছিল সিনেমাটির মূল আকর্ষন।
কুকুর, বিড়াল বা বাঁদরকে নিয়ে সিনেমা বহুবার হয়েছে বলিউডে। সেই সিনেমাগুলি প্রত্যেকটি মনে রাখার মত। ‘হাম আপকে হায় কৌন’, সিনেমার টাফিও তেমনি একটি স্টার ডগ ছিল তখন। এই পোমেরিয়ান কুকুরটির বুদ্ধির জন্যই সিনেমায় নিশা এবং প্রেমের মিল সম্ভব হয়েছিল, যা সম্ভব হতো না যদি নিশার পাঠানো চিঠি এবং গয়না প্রেমের বদলে প্রেমের দাদার কাছে না পৌঁছতো।
তবে ৩০ বছর কেটে যাওয়ার পর এই স্টার ডগ এখন কোথায়, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে একাধিকবার। সোশ্যাল মিডিয়াতেও এই প্রশ্নটি যখন করা হয় তার উত্তর বেশ আসে মজাদার ভাবে। বিষয়টি যখন সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা হয় তখন এক ইউজার লেখেন, ‘আমি যা শুনেছি, টাফির এখন প্রচন্ড খ্যাতি। এখন আরও বেশি সুন্দরী হয়ে গেছে সে, পারিশ্রমিকও প্রচুর নেয় টাফি, তাই পরিচালকরা এখন আর টাফিকে সিনেমায় নিতে পারেন না।’
আবার অন্য একজন লিখেছেন, ‘আমি অটোগ্রাফের জন্য গিয়েছিলাম ওর কাছে, কিন্তু আমাকে ফিরিয়ে দেয় অটোগ্রাফ না দিয়ে।’ একজন আবার মজা করে লিখেছেন, ‘টাফি হয়তো প্রথম কুকুর যে আম্পায়ার থেকে কিউপিড সমস্ত চরিত্রেই অভিনয় করেছিল।’
টাফি সত্যিই এখন কোথায় রয়েছে?
‘হাম আপকে হ্যায় কৌন’, সিনেমার ওই কুকুরটির আসল নাম রেডো। ওই সিনেমাটি ছিল তার প্রথম এবং শেষ সিনেমা। জানা যায়, সালমান এবং মাধুরী দীক্ষিতের থেকেও বেশি পারিশ্রমিক পেয়েছিল টাফি ওরফে রেডো। তবে সিনেমাটির পর মাধুরী দীক্ষিত তাকে দত্তক নেন এবং বাড়ি নিয়ে আসেন। তবে দুর্ভাগ্যবশত ২০০০ সালে ১২ বছর বয়সে টাফি মারা যায়।
(Feed Source: hindustantimes.com)