একটা চোটেই ভেঙে চুরমার স্বপ্ন। কাঁদতে কাঁদতে কুস্তির ম্যাট ছাড়তে হল নিশা দাহিয়াকে। প্যারিস অলিম্পিক্সে কুস্তির ৬৮ কেজি বিভাগের কোয়ার্টার ফাইনালে দাপটের সঙ্গে উঠেছিলেন নিশা। শেষ আটের লড়াইয়ে প্রতিপক্ষের চেয়ে অনেকটা এগিয়েও গিয়েছিলেন। আচমকা একটি চোটেই শেষ নিশার যাবতীয় স্বপ্ন। এক তরফা জয়ের দোরগোড়ায় দাঁড়িয়েছিলেন নিশা দাহিয়া। তবে ছন্দপতন ঘটায় মূলত চোটই। যার নিটফল, কোয়ার্টার ফাইনালে নিশ্চিত জেতা ম্যাচ হেরে, ম্যাট ছাড়তে হয় ভারতের মহিলা কুস্তিগিরকে। ম্যাচ হেরে কান্নায় ভেঙে পড়েন নিশা দাহিয়া।
নিশার এই পরাজয় মানতে পারছেন না ভারতের জাতীয় রেসলিং কোচ বীরেন্দ্র দাহিয়া। তিনি পালটা গুরুতর অভিযোগ এনেছেন। তাঁর দাবি, উত্তর কোরিয়ার কুস্তিগীর ইচ্ছাকৃত ভাবে নিশা দাহিয়াকে আহত করেছেন। এবং তাঁর নিশ্চিত পদক ছিনিয়ে নিয়েছেন। পিটিআই-কে বীরেন্দ্র দাহিয়া বলেছেন, ‘১০০ শতাংশ ইচ্ছাকৃত ভাবে নিশাকে আহত করা হয়েছে। আমরা দেখেছি, কোরিয়ান কর্নার থেকে একটি নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। প্রতিপক্ষ নিশার জয়েন্টে আক্রমণ করছিল। ওরা নিশার থেকে পদক কেড়ে নিয়েছে।’
তিনি আরও যোগ করেছেন, ‘নিশা যে ভাবে শুরু করেছিল, পদকটি ওর গলাতেই উঠত। তবে এটি কেড়ে নেওয়া হয়েছে। আক্রমণগুলি পরিষ্কার ছিল, পালটা আক্রমণ কাজ করেছিল এবং রক্ষণ ছিল কম্প্যাক্ট। এশিয়ান কোয়ালিফায়ারে নিশা এই একই রেসলারকে পরাজিত করেছিল। কোনও ভাবেই এটি নিশার হারার মতো লড়াই ছিল না।’
কোয়ার্টার ফাইনালে উত্তর কোরিয়ার সোল গুম পাকের বিরুদ্ধে নেমেছিলেন নিশা দাহিয়া। ম্যাচের শুরুর কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই নিশা ৪-০ পয়েন্টের লিড নিয়ে নেন। দ্বিতীয় রাউন্ডের খেলা শুরু হলে আগ্রসন জারি রাখেন ভারতীয় কুস্তিগির। তিনি একটা সময়ে ম্যাচে ৮-১ এগিয়েও গিয়েছিলেন। ঠিক তখন ডান হাতেই আচমকা চোট পান নিশা। চোট পাওয়ার পরেই, এর গুরুত্ব বুঝে ম্যাটেই অঝোরে কাঁদতে শুরু করেন তিনি। তবে খেলা থেকে সরে দাঁড়াননি। লড়াই চালিয়ে গিয়েছেন।
কিন্তু যন্ত্রণার তীব্রতা বেশি থাকায় লড়াই করার মতো ক্ষমতা ছিল না তাঁর। কোনও মতে ম্যাচ শেষ করেন নিশা। ততক্ষণে বিপক্ষ ১০-৮ পয়েন্টে ম্যাচ জিতে নিয়েছেন। যদি নিশার প্রতিপক্ষ ফাইনালে ওঠেন, তা হলে মঙ্গলবার রেপেশাজ রাউন্ডে পদক জেতার একটি সুযোগ পাবেন। তবে এই চোট নিয়ে আদৌ নামতে পারবেন কি না, সেটাই প্রশ্ন।
(Feed Source: hindustantimes.com)