কলকাতা: গোটা বিশ্ব তাকিয়ে ছিল উত্তর প্রদেশের আকাশের দিকে। শুধু ভারত নয়, আমেরিকা, ইউরোপ-সহ প্রায় সব দেশের মানুষ তখন একটা প্রশ্নেরই উত্তর খুঁজছেন, কী হচ্ছে উত্তর প্রদেশের আকাশে? অনলাইনে হুড়মুড়িয়ে চলছে লোকেশন ট্র্যাকিং।
ব্যাপারটা কী? সোমবার দুপুরে প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে বাংলাদেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। পালিয়ে আসেন ভারতে। হাসিনার বাংলাদেশ ছাড়ার পর থেকেই তাঁর বিমান ট্র্যাক করতে শুরু করে গোটা বিশ্ব। সবার মনে একটাই প্রশ্ন, কোথায় নামবে বিমান?
মুহূর্তের মধ্যে বিশ্বের ‘সবচেয়ে ট্র্যাকড ফ্লাইট’ হয়ে ওঠে হাসিনার সি-১৩০জে হারকিউলিস (AJAX1431)। ফ্লাইটর্যাডার ২৪ নামের একটি ট্রাকিং ওয়েবসাইটের দাবি অনুযায়ী, বিকাল সাড়ে ৪টা নাগাদ গোটা বিশ্ব তাকিয়ে ছিল হাসিনার বিমানের দিকে।
ফ্লাইটর্যাডার ২৪ ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ইউজাররা বিশ্বের যে কোনও প্রান্তের উড়ন্ত বিমান ট্র্যাক করতে পারেন। তাদের তথ্য থেকেই দেখা গিয়েছে, সোমবার বিকেলে সারা বিশ্বের লোক যে বিমানটিকে ট্র্যাক করছিল সেটা বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিমান।
ট্র্যাকার ওয়েবসাইটের দাবি, বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীর বিমান AJAX1413 উত্তর প্রদেশের বেনারস হয়ে দিল্লির দিকে যাচ্ছিল। এই বিমানেই ছিলেন শেখ হাসিনা। সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৪টেয় বিশ্বের ২৯ হাজার মানুষ এই বিমানটিকে ট্র্যাক করছিলেন। এর মধ্যে আমেরিকা, ইউরোপ, ব্রিটেন এবং ভারতের ইউজাররা রয়েছেন। এছাড়া ফ্লাইট অ্যাওয়ার এবং প্লেন ফাইন্ডার নামের আমেরিকান সংস্থার মাধ্যমেও অনেকেই বিমানের গতিবিধির উপর লক্ষ্য রাখছিলেন।
শেখ হাসিনার বিমান বেনারসের আকাশ পেরিয়ে উত্তর প্রদেশের অনেক শহর ছাড়িয়ে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা নাগাদ গাজিয়াবাদের হিন্ডন বিমান ঘাঁটিতে নামে। এসে থামে ভারতীয় বায়ু সেনার হারকিউলিস এয়ারক্র্যাফট হ্যাঙ্গারে। সারা বিশ্বের ইউজাররা তো বটেই ভারতীয় বিমান বাহিনীও হাসিনার বিমানের প্রতিটা মুহূর্তের গতিবিধির উপর নজর রেখেছিল।
হাসিনার বিমানের ফিচার চমকে দেওয়ার মতো। ২৬ হাজার ফুট উচ্চতা পর্যন্ত উড়তে পারে সি-১৩০জে হারকিউলিস। সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬৪৪ কিলোমিটার। সবচেয়ে বড় কথা হল, এই বিমান ২,৪১৭ মাইল অর্থাৎ প্রায় ৩,৭০০ কিলোমিটারের দূরত্ব একবারে অতিক্রম করতে পারে।
(Feed Source: news18.com)