সারা বিশ্ব, বিল গেটসকে মানবহিতৈষীর চোখে দেখে। কিন্তু বাস্তবে তিনি নিজের কর্মচারী ও ইন্টার্নদের সঙ্গে ক্রমাগত ফ্লার্ট করতেন। মাইক্রোসফটের প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটসের উপর ভিত্তি করে লেখা একটি নতুন বইতে ফাঁস হয়েছে তাঁর ব্যক্তিগত জীবনের এমনই কিছু গোপন তথ্য। যা সারা বিশ্বে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।
নিউইয়র্ক টাইমসের একটি প্রতিবেদন অনুসারে, লেখক অনুপ্রীতা দাসের আসন্ন বইটি দাবি করেছে যে বিল গেটসকে মহিলা ইন্টার্নদের সঙ্গে একা থাকতে নিষেধ করা হয়েছিল কারণ তিনি তাঁদের শ্লীলতাহানি করতে পারতেন। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘বিল গেটস অ্যান্ড হিজ কোয়েস্ট টু শেপ আওয়ার ওয়ার্ল্ড’ শিরোনামের বইটিতে বিল গেটস সম্পর্কে এমন কিছু চমকপ্রদ উদ্ঘাটন করা হয়েছে, যা জানলে বিশ্বাস করা প্রায় অসম্ভব।
প্রতিবেদন থেকে আরও জানা গিয়েছে যে ওই বইটিতে উল্লেখ করা হয়েছে, বিশ্বে বিল গেটসের ভাবমূর্তি একজন মানবহিতৈষীর মতো, কিন্তু তিনি নিজের কর্মচারী ও ইন্টার্নদের সঙ্গে ক্রমাগত ফ্লার্ট করতেন। বইটিতে দাবি করা হয়েছে যে গেটসের পক্ষে মহিলাদের সঙ্গে ফ্লার্ট করা এবং তাঁদের অনুসরণ করা অস্বাভাবিক ছিল না। মাইক্রোসফ্ট কর্মচারীদের ওই কোম্পানির চেয়ারম্যান থাকাকালীন ডিনারে যাওয়ার জন্য প্রস্তাব দিতেও পিছপা হতেন না গেটস।বইটি দাবি করে যে বিল গেটস গেটস ফাউন্ডেশনে কিছু ইন্টার্নের সঙ্গে ফ্লার্ট করেছিলেন। যার ফলে ওই কর্মীরা নিজেদের কর্মজীবনের সম্ভাবনা নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছিলেন। কারণ স্বাভাবিকভাবেই তাঁরা নিজেদের বসের দ্বারা হয়রানির শিকার হতে চাননি।
সম্পর্কের জন্য কোনও চাপ দেওয়া হয়নি
একই সঙ্গে মাইক্রোসফটের এক সূত্রকে উদ্ধৃত করে বইটিতে বলা হয়েছে, বিল গেটস কখনও মহিলাদের উপর নিজের ইচ্ছার জন্য চাপ সৃষ্টি করেননি অর্থাৎ ক্যারিয়ারে সাহায্যের বিনিময়ে তিনি নারীদের যৌন সম্পর্কের জন্য চাপ দেননি। কর্মচারী বলেছিলেন যে বিল গেটসের সঙ্গে থাকার বিনিময়ে কেউ কিছু পেয়েছেন, এমন কোনও ঘটনা ঘটেছে বলে তিনি অন্তত মনে করেন না।
প্রভাব পড়েছে বিবাহেও
বইটিতে আরও বলা হয়েছে, বিল গেটস ও মেলিন্ডার বৈবাহিক সম্পর্কেও এইসব কর্মকাণ্ড গভীরভাবে প্রভাব ফেলেছে। মেলিন্ডা তাঁর স্বামীর কর্মকাণ্ডের কথা জেনে চিন্তিত হয়ে পড়েছিলেন, তারপরে তিনি গেটসের সিকিউরিটি টিমকে এমন ভাবে নির্দেশ দিয়েছিলেন যে গেটস যেখানে থাকবে, সেই খোঁজ যাতে কেউ না পায়। বাড়িতে গেটস এর খোঁজ করে কোনও মহিলা কর্মীর ফোন আসলে গেটস-এর ব্যক্তিগত নম্বর যাতে না পৌঁছোয়। সবটা নিয়ন্ত্রণের জন্য এমনই বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ করেছিলেন গেটসের প্রাক্তন স্ত্রী।
বিল গেটসের মুখপাত্র অভিযোগ অস্বীকার করেছেন
এদিকে, বিল গেটসের মুখপাত্র অভিযোগগুলি অস্বীকার করে দিয়েছেন এবং নিউ ইয়র্ক টাইমসকে বলেছেন যে বইটিতে যা লেখা হয়েছে, সবই গুজব। বেনামী সূত্রের উপর ভিত্তি করে এমন চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করা হয়েছে। গেটস ও তাঁর প্রতিনিধিরাও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাঁরা বইটির দাবিকে চাঞ্চল্যকর এবং ভিত্তিহীন বলেছেন। তবে এই বইটির মুদ্রণ আটকানো হয়নি। ১৩ অগস্ট প্রকাশিত হতে চলেছে এটি।
(Feed Source: hindustantimes.com)