স্নাতকোত্তর পর্যায়ের সর্বভারতীয় মেডিক্যাল প্রবেশিকা (NEET-PG) পিছিয়ে দিতে রাজি হল না সুপ্রিম কোর্ট। শুক্রবার ভারতের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় জানান, মেরেকেটে ৫০ জনের জন্য দু’লাখ পরীক্ষার্থী এবং চার লাখ অভিভাবকের যে চোখের জল পড়বে, সেটা কোনওভাবেই বরদাস্ত করা যায় না। কয়েকজনের জন্য এতজন প্রার্থীর ভবিষ্যৎকে ঝুঁকির মুখে ফেলে দেওয়া যায় না বলে সাফ জানিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ডিভিশন বেঞ্চ। যে বেঞ্চে আছেন বিচারপতি জেবি পাদ্রিওয়ালা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রও। যে বেঞ্চ পিটিশন খারিজ করে দিয়েছে।
NEET-PG পিছিয়ে দিতে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের
আগামী রবিবার (১১ অগস্ট) NEET-PG পরীক্ষা আছে। সেই পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়ার জন্য সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করা হয়। সেইসঙ্গে দুটি দফায় পরীক্ষা আয়োজনের যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে ন্যাশনাল বোর্ড অফ এক্সামস, সেটার বিরুদ্ধেও আবেদন করা হয় শীর্ষ আদালতে। আর ‘নর্মালাইজেশন ফর্মুলা’ প্রয়োগ করা নিয়েও পিটিশন দাখিল করা হয়।
সেই মামলার শুনানি শুরু হতেই ভারতের প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘দেশে এত সমস্যা আছে। আর এখন (NEET) PG পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়া নিয়ে মামলা দায়ের করা হচ্ছে।’ সেইসঙ্গে শীর্ষ আদালতের বেঞ্চ জানায়, দু’লাখের বেশি প্রার্থীর মধ্যে পাঁচজন এই মামলা দায়ের করেছেন।
সেই রেশ ধরেই ভারতের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় বলেন, ‘পাঁচজন মামলাকারীর জন্য আমরা দু’লাখ প্রার্থীর কেরিয়ারকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দিতে পারি না।’ সেইসঙ্গে ভারতের প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘নীতিগত বিষয় হিসেবে আমরা (NEET-PG পরীক্ষা) পিছিয়ে দেব না। দু’লাখ পড়ুয়া আছেন। চার লাখ অভিভাবক আছেন। সপ্তাহান্তে যাঁদের চোখের জল পড়বে।’
NEET-PG পরীক্ষা নিয়ে টানাপোড়েন
গত ২৩ জুন স্নাতকোত্তর পর্যায়ের সর্বভারতীয় মেডিক্যাল প্রবেশিকা (NEET-PG) পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সর্বভারতীয় মেডিক্যাল প্রবেশিকা (NEET-UG) এবং ইউজিসি-নেট (UGC-NET) পরীক্ষা নিয়ে যে বিতর্ক তৈরি হয়, তার জেরে ২২ জুন রাত ১০ টার পরে ঘোষণা করা হয়েছিল যে পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
পরে ন্যাশনাল বোর্ড এফ এক্সামিনেশনস ইন মেডিক্যাল সায়েন্সসের (NBEMS) তরফে জানানো হয়ে যে ১১ অগস্ট NEET-PG পরীক্ষা হবে। দুটি শিফটে পরীক্ষা হবে বলে জানিয়ে দেয় ন্যাশনাল বোর্ড এফ এক্সামিনেশনস ইন মেডিক্যাল সায়েন্সস।
(Feed Source: hindustantimes.com)