সন্তান কানে কম শুনছে! অবহেলা করলেই ভয়ঙ্কর বিপদ, সন্তানকে সুস্থ রাখবেন কী করে?

সন্তান কানে কম শুনছে! অবহেলা করলেই ভয়ঙ্কর বিপদ, সন্তানকে সুস্থ রাখবেন কী করে?

কলকাতা: রাতদিন কানে হেডফোন, লাউড মিউসিক, সারা রাত ধরে পার্টি, সিনেমাহলের হাই ডেসিমেলের আওয়াজ-এই সব কিছুর প্রভাব পড়ছে কানের উপর।

বিশেষ করে বাচ্চারা ক্রমশ শ্রবণক্ষমতা হারাচ্ছে৷ বিশ্ব সংস্থার রিপোর্ট অনুযায়ী এইভাবে চলতে থাকলে, ২০৫০ সালের মধ্যে প্রায় ১২ থেকে ৩৫ বছর বয়সিদের মধ্যে ১ বিলিয়ন মানুষ শ্রবণ শক্তির অক্ষমতার শিকার হতে পারে৷

হু-এর তরফ থেকে জানানো হয়েছে, মূলত উচ্চ ডেসিবেলে হেডফোন বা অডিও ডিভাইসে গান শোনার ফলে প্রায় ২৫ শতাংশ মানুষ কানে কম শুনতে পারে৷

তবে ৫০ শতাংশ শিশুর কানে কম শোনার কারণ পার্টি বা সিনেমাহলের উচ্চ কম্পাঙ্কের সঙ্গে বারবার এক্সপোয়েজ হওয়া৷ অদূরে যাতে এই কানে শোনার ক্ষমতা মহামারির আকার ধারণ না করে, তাই জন্য হু বেশ কিছু নির্দেশিকা জারি করেছে৷

এই বিষয়ে কথা বললেন এইমসের (AIIMS) অধ্যাপক ডা: বিপি শর্মা৷ তিনি বলেছেন কথোপকথনের জন্য ২০ থেকে ৩০ ডেসিমেলই সবচেয়ে সুরক্ষিত৷ তার চেয়ে বেশি কম্পাঙ্কের আওয়াজে শ্রবণযন্ত্রের মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে৷

তিনি আরও বলেন, ব্যক্তিগত অডিও ডিভাইসের ভলিউমের মাত্রা সবসময়তেই ৭৫ থেকে ১০৫ ডেসিমেলের মধ্যে রাখা দরকার৷ এর চেয়ে বেশি ডেসিমেলে কম্পাঙ্ক কানে এলে শ্রবণ ক্ষমতার জন্য তা মারাত্মক হতে পারে৷

কথায় আছে ‘‘প্রিকশান ইজ বেটার দ্যান কিয়োর’’৷ কিন্তু ডা: বিপি শর্মা বলেন, এই প্রসঙ্গে প্রিকশান ছাড়া উপায়ও নেই খুব একটা৷ শ্রবণযন্ত্রের ক্ষতি হয়ে গেলে তা আর ঠিক করা সম্ভব নয়৷ বিশেষত সম্পূর্ণ বধির হয়ে গেলে তার খুব একটা চিকিৎসা নেই৷

তাই প্রথম থেকেই সচেতন হন৷ খেয়াল রাখুন আপনার সন্তান যেন খুব বেশি ক্ষণ হেডফোন ব্যবহার না করে৷ তাছাড়াও পার্টি বা সিনেমাহলের উচ্চ কম্পাঙ্কের সঙ্গে যাতে আপনার সন্তান বেশি এক্সপোজ না হয়, তার চেষ্টা করুন

(Feed Source: news18.com)