শিক্ষার আলো সবার! দৃষ্টিহীনদের জন্য প্রথম আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয় খুলবে ওড়িশা

শিক্ষার আলো সবার! দৃষ্টিহীনদের জন্য প্রথম আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয় খুলবে ওড়িশা

শিক্ষায় নতুন ভোরের সূচনা। অবশেষে দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের জন্য খুলতে চলেছে বিশ্ববিদ্যালয়। ভারতে ৫০ লক্ষেরও বেশি মানুষ দেখতে পান না। এর মধ্যে প্রায় ৫.২১ লক্ষ মানুষ ওড়িশায় থাকেন। এই কথা মাথায় রেখেই দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের জন্য একটি আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয় চালু হতে চলেছে ওড়িশায়। ভারতে এটিই হতে চলেছে দৃষ্টিহীনদের প্রথম বিশ্ববিদ্যালয়। অন্ধ শিক্ষার্থীরাও, যাতে শিক্ষার সুবিধা পেতে পারেন, সেই দিকটা বজায় রেখেই এই প্রতিষ্ঠানে শিক্ষা ও কারিগরি পাঠ্যক্রম তৈরি করা হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়টির কী নাম হবে

১৯ শতকের বিখ্যাত দৃষ্টিহীন কবি ও সমাজ সংস্কারক ভীম ভোইয়ের নামে বিশ্ববিদ্যালয়টির নামকরণ করা হবে। ভীম ভোই সাহিত্যে তাঁর অবদান এবং সামাজিক পরিবর্তনের জন্য অন্যতম প্রয়াসের জন্য পরিচিত। তাঁর নামে বিশ্ববিদ্যালয়ের নামকরণ শুধুমাত্র তাঁর উত্তরাধিকারকে সম্মান করার জন্য নয়, দৃষ্টি প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীর মধ্যে শিক্ষা ও ক্ষমতায়নের জন্যও করা হবে।

ভার্সিটির ক্যাম্পাস নিয়েও রয়েছে দুর্দান্ত পরিকল্পনা

জানা গিয়েছে যে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা ও প্রযুক্তিগত কোর্স পড়ানো হবে। শিক্ষার্থীদের ভার্সিটি ক্যাম্পাসে একটি উন্নত ডিজিটাল ল্যাব প্রস্তুত করা হবে। তারই সঙ্গে ক্যাম্পাসেই পড়ুয়াদের থাকার বন্দোবস্তু করারও পরিকল্পনা করা হয়েছে। এসএসইপিডির মুখ্য সচিব বিষ্ণুপদ শেঠি বলেছেন, কর্তৃপক্ষ ভারত এবং বিদেশের শিক্ষার্থীদের শিক্ষা প্রদানের জন্য একটি ক্যাম্পাস স্থাপনের পরিকল্পনা করছে। নবম শ্রেণি থেকে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে পঠনপাঠনের ব্যবস্থা করা হবে। ভোকেশনাল কোর্সের পাশাপাশি আকুপাংচার এবং ফিজিওথেরাপির মতো বৃত্তিমূলক কোর্সও প্রদান করা হবে।

সামাজিক নিরাপত্তা এবং প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের ক্ষমতায়ন বিভাগের দৃষ্টি প্রতিবন্ধী উপসচিব সন্ন্যাসাই বেহেরা বলেছেন অন্ধদের জন্য এ ধরনের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা প্রয়োজন। এ নিয়ে তাঁরা আগেও পরিকল্পনাও করেছেন। ওড়িশা রাজ্যে প্রায় ২ লক্ষ যুবকদের একটি বিশাল জনসংখ্যা রয়েছে, যাঁরা চোখে দেখতে পান না। এমতাবস্থায় তাঁদের মেধাকে উপযুক্ত পরিবেশ দিতে, তাঁদের শিক্ষার সুযোগের জন্য একটি নির্দিষ্ট প্রতিষ্ঠানের অত্যন্ত প্রয়োজন রয়েছে। এই বিশ্ববিদ্যালয় দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের জন্য শিক্ষার নতুন সুযোগ খুলে দেবে। এটি তাঁদের ব্যক্তিগত বিকাশে সহায়তা করবে এবং প্রয়োজনীয় দক্ষতা শেখাবে।

বৃহস্পতিবার, জাপানের সুকুবা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি প্রতিনিধি দল এসএসইপিডি অর্থাৎ সামাজিক নিরাপত্তা এবং প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের ক্ষমতায়ন বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেখা করেছে। সুকুবা বিশ্ববিদ্যালয়ও এই ক্ষেত্রে সহযোগিতা করতে চলেছে। তবে চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী মোহন চরণ মাঝির কাছে একটি প্রস্তাব পাঠানোর পরিকল্পনাও করা হচ্ছে।

(Feed Source: hindustantimes.com)