নয়াদিল্লি : লালকেল্লায় স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধীকে যেখানে বসতে দেওয়া হল তা নিয়ে জোর সমালোচনা শুরু হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। অলিম্পিক্স অ্যাথলিটদের সঙ্গে দ্বিতীয় শেষ সারিতে বসতে দেওয়া হয়। সাদা কুর্তা-পাজামা পরিহিত রাহুলকে ভারতের হকি প্লেয়ার গুরজন্ত সিংহের পাশে বসে থাকতে দেখা যায়। সামনের সারিতে অলিম্পিক্স পদকজয়ী মনু ভাকের ও সরবজ্যোৎ সিং-সহ নামীদামি ব্যক্তিত্বদের জায়গা দেওয়া হয়েছিল। ব্রোঞ্জজয়ী হকি দলের অধিনায়ক হরমনপ্রীত সিং ও আরপি সৃজেশকেও রাহুলের আগে বসতে দেওয়া হয়। Leader of the Oppositions Rahul Gandhi
সাধারণত, বিরোধী দলনেতা যিনি একজন ক্যাবিনেট মন্ত্রীর পদতুল্য, তাঁকে সামনের সারিতে বসতে দেওয়া হয়। এবছর যদিও সেই আসনগুলি সংরক্ষিত করা হয়েছিল অন্যান্য বিশিষ্টদের জন্য়। সেখানে ছিলেন প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, কেন্দ্রীয়মন্ত্রী নির্মলা সীতারমন, অমিত শাহ, এস জয়শঙ্কর ও শিবরাজ সিং চৌহান।
এভাবে বসার আয়োজন হওয়ায় শীঘ্রই সোশ্যাল মিডিয়ায় এনিয়ে সমালোচনা শুরু হয়। প্রোটোকল এবং এই অনুষ্ঠানে রাহুলের পদের গুরুত্ব কেন ভাবা হয়নি তা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়। অনেক নেটিজেনই এই সংক্রান্ত ভাইরাল ভিডিওয় তীব্র প্রতিক্রিয়া জানান। এভাবে তাঁর সঙ্গে আচরণ করা উচিত হয়নি বলে মতপ্রকাশ করেন তাঁরা।
এক সমাজ মাধ্যম ব্যবহারকারী লেখেন, ‘রাহুল গান্ধী বিরোধী ২৩৩ জন সাংসদের নেতা। ভারতের আওয়াজ। আজ সেই তাঁকেই কি না লালকেল্লায় শেষের দ্বিতীয় সারিতে আসন দেওয়া হল। কার্যত সবার শেষে। বিজেপির মনে রাখা উচিত যে এই সরকার একদিন চলে যাবে। আর রাহুল গান্ধী ওখানে প্রধানমন্ত্রী হয়ে বসবেন।’
আরও এক সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারী লিখলেন, ‘লজ্জা। শক্তিশালী বিরোধী দলের সবথেকে বেশি আওয়াজ তোলা মানুষ। উনি লোকসভায় বিরোধী দলনেতা। কিন্তু, ওঁকে দ্বিতীয় শেষ সারির আসনে বসতে দেওয়া হল। যেখানে অন্য মন্ত্রীরা বসলেন প্রথম সারিতে। সেই দিন আর দেরি নেই, যেদিন RG প্রধানমন্ত্রী হবেন, বিজেপি তার সস্তার রাজনীতি এখানেও করল।’
আরও একজন লিখলেন, ‘শেষের সারিতে এমনকী অলিম্পিক্সের পদকজয়ীদেরও পিছনে বসেছেন বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী। এটা একজন প্রকৃত নেতার গুণ। যিনি কখনোই তাঁর সাংবিধানিক পদের অপব্যবহার করেন না।’
(Feed Source: abplive.com)