কয়লা ও গরুপাচারকাণ্ডে রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়কে টানা সাত ঘণ্টা জেরার পর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কালীঘাটের বাড়ি থেকে বেরলো সিবিআই। মঙ্গলবার প্রায় ৭ ঘণ্টা জেরার পর সন্ধ্যায় অভিষেকের ‘শান্তিনিকেতন’ প্রাসাদ ছাড়েন সিবিআইয়ের গোয়েন্দারা। এর পর সিবিআই কী পদক্ষেপ করে সেদিকেই নজর সবার।
এদিন বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ অভিষেকের বাড়িতে পৌঁছন সিবিআই গোয়েন্দারা। তার আগেই যদিও ত্রিপুরার উদ্দেশে রওনা হয়ে গিয়েছিলেন তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক। সিবিআইয়ের ৮ সদস্যের দল ঢোকেন অভিষেকের ‘শান্তিনিকেতন’ প্রাসাদে। তাঁদের মধ্যে ছিলেন এক মহিলা আধিকারিক।
সূত্রের খবর, গরু ও কয়লাপাচারের টাকা সরাতে রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ব্যবহার হয়েছে বলে যে অভিযোগ উঠেছে তা নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন তাঁরা। এর আগেও রুজিরাদেবীকে একবার জিজ্ঞাসাবাদ করেছিলেন গোয়েন্দারা। সেবার থাইল্যান্ডের একটি ব্যাঙ্কের ওই ২টি অ্যাকাউন্ট তাঁর বলে মানতে অস্বীকার করেছিলেন রুজিরা। এদিন অ্যাকাউন্ট যে তাঁরই তা প্রমাণ করতে রুজিরার সামনে তথ্যপ্রমাণ পেশ করেন গোয়েন্দারা। সিবিআই সূত্রে খবর, প্রায় ১,৩০০ কোটি টাকা জমা পড়েছে ওই অ্যাকাউন্টে। এদিন রুজিরাদেবীর বয়ানও রেকর্ড করেন গোয়েন্দারা। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা নাগাদ অভিষেকের বাড়ি থেকে বেরোন সিবিআইয়ের গোয়েন্দারা।
ওদিকে আগরতলায় রোড শো শেষে বিজেপিকে আক্রমণ করেন অভিষেক। বলেন আমি ত্রিপুরা আসব খবর পেলেই সিবিআইয়ের তৎপরতা বেড়ে যায়। আবার আমার স্ত্রীকে চিঠি দিয়েছে।