জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: গত মাসেই নেপালের রাস্তায় ধস নেমে নদীতে পড়ে যায় দুটি যাত্রীবোঝাই বাস। তার জেরে ৬৫ জনের মৃত্যু হয়, যার মধ্যে ছিলেন ৭জন ভারতীয়ও। ফের এক ভয়াবহ বাস দুর্ঘটনা নেপালে (Nepal accident)। শুক্রবার দুপুরে নদীতে পড়ে যায় একটি যাত্রীবাহী বাস। ৪০ জন যাত্রী ছিলেন ওই বাসে, জানা যায় তাঁরা প্রত্যেকেই ভারতীয়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হল ১৪ জনের, গুরুতর আহত আরও ১৬ জন।
দুর্ঘটনাস্থল থেকে তড়িঘড়ি উদ্ধার করা হয় আহতদের। ভর্তি করা হয় হাসপাতালে। নেপাল পুলিস সূত্রে খবর, পোখরা থেকে কাঠমাণ্ডু যাচ্ছিল বাসটি। পথেই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাসটি পড়ে যায় তনহুঁ জেলার মারশিয়াংড়ি নদীতে। প্রাথমিকভাবে খবর, নদীর তীরেই বাসটির খোঁজ মিলেছে। নেপালের ডিএসপি দীপকুমার রায়া জানান, বাসটিতে উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) নম্বর প্লেট রয়েছে। ইতোমধ্যেই উদ্ধারকাজ শুরু হয়েছে। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে নেপালের সেনাও। যদিও সরকারিভাবে মৃতের সংখ্যা এখনও জানানো হয়নি।
দুর্ঘটনার পরেই এসএসপি মাধব পডেলের নেতৃত্বে ৪৫ জন পুলিশকর্মীর দল ইতিমধ্যেই সেখানে পৌঁছেছে। জানা গিয়েছে, ওই বাসে যে ভারতীয় যাত্রীরা ছিলেন তাঁরা পোখরার মাঝেরি রিসর্টে ছিলেন। এদিন সকালেই তাঁরা কাঠমাণ্ডুর উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন। উত্তরপ্রদেশের এক সরকারি আধিকারিক এপ্রসঙ্গে জানিয়েছেন, গাড়িটির রেজিস্ট্রেশন নম্বর খতিয়ে দেখে সেটির মালিকের নাম এবং রাজ্যের কোনও বাসিন্দা দুর্ঘটনায় কবলে পড়েছেন কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার লেহ লাদাখের দুরবুক মহকুমায় একটি সড়ক দুর্ঘটনায় অন্তত ৭ জন প্রাণ হারিয়েছেন। আহত আরও ২২। এদিন সকালে গাড়িটি রাস্তা থেকে ছিটকে পড়ে ডুবুক মোড়ের কাছে গভীর খাদে পড়ে যায়। বাসটি লেহ-র ল্যামডন পাবলিক স্কুলের। একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে স্কুলের কর্মীদের নিয়ে বাসটি দুরবুক যাচ্ছিল। দুর্ঘটনার পরপরই উদ্ধার অভিযান শুরু হয়। ঘটনাস্থলেই ৬ জনের মৃত্যু হয় এবং পরে জেলা হাসপাতালে এক জনের মৃত্যু হয়। এই মর্মান্তিক ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ২২ জন। আহতদের প্রথমে নিকটবর্তী সেনা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তাঁদের এয়ারলিফ্ট করে লেহ-র জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
(Feed Source: zeenews.com)