ব্রিটিশ যুগের পোশাক নয়, সমাবর্তনে পরতে হবে…! বহু প্রতিষ্ঠানকে বার্তা কেন্দ্রের

ব্রিটিশ যুগের পোশাক নয়, সমাবর্তনে পরতে হবে…! বহু প্রতিষ্ঠানকে বার্তা কেন্দ্রের

এইমস সহ দেশের সেরা মেডিক্যাল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিকে সমাবর্তনে পড়ুয়াদের পোশাক সম্পর্কে এক নির্দেশিকা দিয়েছে কেন্দ্র। সেখানে বলা হয়েছে, ঔপনিবেশিক যুগের ‘ব্ল্যাক রব’ ছেড়ে সমাবর্তনে ভারতীয় সংস্কৃতির কোনও পোশাক পরার কথা। কেন্দ্রীয় সরকার অনুমোদিত দেশের মেডিক্যাল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গিয়েছে এই নির্দেশ।

নয়া নির্দেশিকা অনুযায়ী, দেশের মেডিক্যাল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে সমাবর্তনের সময় ভারতীয় কোনও সংস্কৃতির পোশাক পরার কথা বলা হয়েছে। সেই পোশাকে স্থানীয় ঐতিহ্য ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকেও রাখার কথা বলা হয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে বলা হয়েছে, ‘বর্তমানে দেখা গিয়েছে, মন্ত্রকের আওতায় থাকা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে সমাবর্তনের সময় ব্ল্যাক রোব (কালো পোশাক) ও টুপি ব্যবহার করা হচ্ছে। ’ এরই সঙ্গে কেন্দ্র বলেছে,’এই পোশাক ইউরোপের মধ্যযুগে উদ্ভূত হয়েছিল এবং ব্রিটিশরা তাদের সমস্ত উপনিবেশে এটি চালু করেছিল। উপরোক্ত ঐতিহ্য একটি ঔপনিবেশিক উত্তরাধিকার যা পরিবর্তন করা প্রয়োজন।’ এরইসঙ্গে এইমস, আইএনআই সহ একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে প্রস্তাবনা পেশ করতে বলা হয়েছে ‘গ্র্যাজুয়েশন পোশাক’ কী হতে পারে তার জন্য। পোশাকগুলি স্থানীয় কোনও সাংস্কৃতিক কিছু দ্বারা আনুপ্রাণিত হতে হবে। এই প্রস্তাবগুলি, কেন্দ্রের স্বাস্থ্য সচিব অনুমোদন করবেন।

প্রসঙ্গত, গত কয়েক বছরে দেশের বহু তাবড় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ‘কালো গ্র্যাজুয়েশন গাউন’ আর পড়া হয় না। সেখানে দেশের সংস্কৃতির সঙ্গে জড়িত পোশাককেই সমাবর্তনের সময়ের পোশাক হিসাবে পরা হয়। বহু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সমাবর্তনে পুরুষরা পাঞ্জাবী-পায়জামা ও মহিলারা শাড়ি পরে অংশ নেন। সদ্য আইআইএম শিলং এর পড়ুয়ারা সমাবর্তনে অসমে তৈরি হওয়া খাদির পোশাক পরে অংশ নেন। সেখানে সেই পোশাকে ছিল হলুদ, সাদা, সবুজ রঙের ছোঁয়া। পশ্চিম বিশ্ব জুড়ে সমাবর্তনের সময় দেখা যায় সেই উপমহাদেশের ঐতিহ্যবাহী কালো পোশাক এবং ক্যাপ। বিভিন্ন ধরনের ‘গ্র্যাজুয়েশন গাউন’ সমাবর্তনে দেখা গিয়েছে কেমব্রিজ, অক্সফোর্ডের মতো বিশ্ববিদ্যালয়ে।

(Feed Source: hindustantimes.com)