ড্রাগন তার নাগরিকদের হত্যায় বিরক্ত, জেনারেল বাজওয়াকে ডেকে একটি গাছ লাগিয়েছিল

ড্রাগন তার নাগরিকদের হত্যায় বিরক্ত, জেনারেল বাজওয়াকে ডেকে একটি গাছ লাগিয়েছিল
ক্রিয়েটিভ কমন

চীনের কেন্দ্রীয় সামরিক কমিশনের ভাইস চেয়ারম্যান এবং পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল বাজওয়াও এতে অংশ নেন। বৈঠকে উভয় দেশের কৌশলগত এবং প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত বিষয়ে একে অপরকে সমর্থন করার ঘোষণা দেওয়া হয়।

পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়া চারদিনের চীন সফরে গেছেন। যেখানে তিনি চীনের শীর্ষ সেনা কমান্ডারদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। চীন ও পাকিস্তানের কমান্ডার একত্রিত হলে প্রশ্ন ওঠে, কী হয়? 9 জুন থেকে 12 জুন পর্যন্ত স্থায়ী বৈঠকটি পূর্ব চীনের শানডং প্রদেশে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এতে চীনের কেন্দ্রীয় সামরিক কমিশনের ভাইস চেয়ারম্যান এবং পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল বাজওয়াও অংশ নেন। বৈঠকে উভয় দেশের কৌশলগত এবং প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত বিষয়ে একে অপরকে সমর্থন করার ঘোষণা দেওয়া হয়।

উল্লেখ্য, গত কয়েক বছরে পাকিস্তানের অভ্যন্তরে চীনা নাগরিকদের ওপর হামলা বাড়ছে। চীনও এসব হামলায় পাকিস্তানের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। তবে এই প্রথমবারের মতো চীন সরাসরি পাকিস্তানি জেনারেলের সাথে তার বিরক্তি প্রকাশ করেছে এবং বেলুচিস্তান প্রদেশে চীন পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোরে কর্মরত বেসামরিক নাগরিকদের উপর হামলা বন্ধ করতে বলেছে। চীনে অনুষ্ঠিত শীর্ষ বৈঠকে পাকিস্তানি প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল বাজওয়া। উভয় পক্ষ সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলায় সহযোগিতা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বেলুচ গোষ্ঠীগুলির দ্বারা চীনা বেসামরিক নাগরিকদের উপর হামলার বিষয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়।

চীন এলএসির অপর প্রান্তে ক্রমাগত সামরিক শক্তি বাড়াচ্ছে। অবকাঠামো বাড়ানোর পাশাপাশি এয়ারবেসও তৈরি করা হচ্ছে। আমেরিকাও ভারতকে সতর্ক করেছে চীন থেকে সাবধান থাকতে। তবে এই বৈঠকের আলোচ্যসূচিতে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের কথা বলা হয়েছে। কিন্তু চীন ও পাকিস্তানের অতীত ইতিহাস দেখলে বিশ্বাস করা যায় না। চীনে অনুষ্ঠিত শীর্ষ বৈঠকে পাকিস্তানি প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল বাজওয়া। উভয় পক্ষ সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলায় সহযোগিতা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বেলুচ গোষ্ঠীগুলির দ্বারা চীনা বেসামরিক নাগরিকদের উপর হামলার বিষয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়।

(Source: prabhasakshi.com)