জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: তাঁর গাড়ির ধাক্কায় প্রাণ হারিয়েছেন এক বাবা-মেয়ে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে একাধিক মোটরসাইকেল, গাড়ি। কিন্তু তাঁর চোখে-মুখে অনুতাপের লেশমাত্র নেই উল্টে ঠোঁটের কোণে তাচ্ছিল্যের হাসি। সেই সঙ্গে বলতে শোনা যাচ্ছে, আমার বাবাকে চেনো তো! সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই ভিডিয়ো ভাইরাল হতেই ব্যাপক সমালোচিত হয়েছেন সেই মহিলা। ঘটনাটা পাকিস্তানের। কারসাজ রোডে এক ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটে, তাঁর SUVর ধাক্কায় মৃত্যু ২ জনের।
Natasha Iqbal’s crushing poor father his daughter in the drunkenness of wealth,this smile is spitting on the face of Pakistan’s law,courts,justice system and government.This is slander in the name of the elite above the law.There are prisons punishments,detentions, fines for poor pic.twitter.com/iBNl3ZqgcE
— Zain Tareen (@Zaintareen_) August 24, 2024
স্বভাবতই দুর্ঘটনা ঘটার পরই গাড়ি ঘিরতে থাকে ক্ষিপ্ত জনতা। গাড়িটি ছিল বিলাসবহুল ‘টয়োটা ল্যান্ড ক্রুজার’। তাঁর এসইউভির ধাক্কায় কিছুদিন আগে দুই পথচারীর মৃত্যু হয়। গাড়ি ঘোরানোর সময় একটি মোটর সাইকেলকে ধাক্কা মারে SUV। গাড়িটি পাকিস্তানের তাবড় শিল্পপতি দানিশ ইকবালের স্ত্রী নাতাশা। জানা গিয়েছে, দুর্ঘটনার পর গাড়ি থেকে নেমে কার্যত নাতাশাকে ঘোরের মধ্যে রয়েছেন বলে মনে হয়েছে অনেকের।
পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, আহত আরও অন্তত চারজনকে চিকিৎসার জন্য নিকটবর্তী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আক্রান্তদের মধ্যে একজন এখন ভেন্টিলেশনে রয়েছে। তবে দুর্ঘটনার পরে নাতাশার আচরণ, সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ভিডিয়োগুলিতে যা দেখা গিয়েছে তা আরও মর্মান্তিক। বেশ কিছু রিপোর্ট দাবি করছে, এই ভয়াবহ ঘটনার পর নাতাশার মুখে কোনও দুঃখ বা অনুশোচনা ছিল না। তিনি আঙুল তুলে ক্ষিপ্ত জনতার দিকে কিছু বোঝাতে থাকেন। X-এ শেয়ার করা ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, ক্ষুব্ধ জনতা তাঁকে ঘিরে আছে, অথচ নাতাশা, তার পরিবারের প্রভাব নিয়ে হাসছে এবং গর্ব করছে। তাকে বলতে শোনা গিয়েছে, “তুম মেরে বাপ কো না জানতে”।
গোটা ঘটনায় পাকিস্তানে ছড়িয়েছে ক্ষোভের রেশ। সে দেশের বেশ কিছু মানুষের বক্তব্য, ওর হাসিই আমাদের বিচারব্যবস্থার উপর প্রশ্নচিহ্ন তুলে দিয়েছে।
(Feed Source: zeenews.com)