জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: উত্তরাখণ্ডের ‘ওম পর্বত’। পর্যটকদের কাছে খুবই প্রিয় একটি জায়গা। দূর দূর থেকে মানুষ এখানে ছুটে আসেন প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মধ্যে দিয়ে ধর্মীয় অনুভূতির আস্বাদ পেতে। কেন প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মধ্যে দিয়ে ধর্মীয় অনুভূতির আস্বাদ? আসলে এখানে, পাহাড়ের ভূপ্রকৃতির প্যাটার্নটা এমন যে, এখানে বরফ পড়লে পর্বতের শীর্ষে ‘ওম’ লেখাটি ফুটে ওঠে।
কিন্তু এবার তাতে প্রথম ছেদ পড়ল! এবার পর্বতশীর্ষে বরফের চাদরের উপর ‘ওম’ লেখাটি ফুটে উঠল না! কেন উঠল না? কারণ, বরফই তো পড়েনি! লেখা ফুটে উঠবে কী করে! এদিকে, সেজন্য হতাশ বহু পর্যটক। এই ‘ওম’ লেখা দেখতেই বহুদূর থেকে এখানে ছুটে আসেন পর্যটকেরা। তেমনই এক পর্যটক জানান, এখানে এসে ওম পর্বতের এমন পরিস্থিতি দেখে তাঁরা হতাশ। আসলে বরফহীন ওম পর্বতের কথা তাঁরা কখনও শোনেননি। বরফ ছাড়া ওম পর্বত কখনও দেখা যায় না। এবার যে এমন হবে, তা মানুষ জানবেন কেমন করে?
স্থানীয়দের মতে, এর ফলে মার খাবে এ এলাকার পর্যটনও। এই এলাকায় পর্যটন অন্যতম ব্যবসা। যদি পর্যটকরা এসে বরফের দেখা না পান তবে তারা হতাশ হয়ে ফিরে যাবেন। যদিও নতুন করে ওম পর্বতে বরফপাত ঘটেছে। তবে সময়ের আগেই বরফ হারিয়ে যাওয়াটা উদ্বেগ বাড়াচ্ছে নানা মহলের।
১৪ হাজার ফুট উচ্চতার ওম পর্বত থেকে এই প্রথম হারিয়ে গেল বরফের চাদর। এই প্রথম এমন ঘটল এখানে। এখন কারণ খোঁজার চেষ্টা হচ্ছে, কেন এমন হল? বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, আসলে কারণটা প্রাকৃতিকই। প্রকৃতির চরিত্রবৈশিষ্ট্যে বদল আসারই ফল এটি।
কেমন বদল?
ইদানীং হিমালয়ের বর্ষার চরিত্র বদলে যাচ্ছে। এই বদলের ফলে বরফের সময়সীমাও বদলে যাচ্ছে। উচ্চ হিমালয়ে গত ৫ বছর ধরে দূষণের মাত্রা বেড়ে চলেছে। এর পাশাপাশি বিশ্ব উষ্ণায়নের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ নানা প্রভাবও পড়ছে হিমালয়ের উপর।
(Feed Source: zeenews.com)