বাঁকুড়া: একসময় রাজ্য স্তরের অ্যাথলেটিক্সে মাঠ কাঁপিয়েছে ইব্রাহিম। জ্যাভেলিন হোক কিংবা শটপাট, সবেতেই পেয়েছেন সাফল্য। বিগত পাঁচ ছয় বছর ধরে জ্যাভেলিন থ্রো করছেন তিনি। ২০২২ সালে মোহনবাগানের হয়ে শটপাটে থার্ড হন তিনি। রাজ্য স্তরে অনূর্ধ্ব ২৩ এ দ্বিতীয় স্থান পান তিনি। তারপর ন্যাশনাল জ্যাভেলিন ডে’তে জ্যাভেভেলিন থ্রোতে প্রথম হন বাঁকুড়ার নতুনগ্রামের বাসিন্দা ইব্রাহিম খান।
২০১৫ সাল থেকে একদম তপস্যার মত করে চালিয়ে যাচ্ছেন খেলাধুলো। বাঁকুড়াতেই প্রশিক্ষণ নিয়েছেন ইব্রাহিম, চোখে স্বপ্ন ছিল কিছু বড় কিছু করার। কিন্তু কোথাও কোনও দিশা খুঁজে না পেয়ে বর্তমানে পঞ্জাবে গিয়ে কাজ করছেন পরিযায়ী শ্রমিক হয়ে। ইব্রাহিমের বয়স ২৪। ফিটনেস এখনও ধরে রেখেছে সে। কথা বললে বোঝা যাবে যে কতটা হতাশ সে। ব্যক্তিগত স্পোর্টস নিয়ে এগিয়ে যেতে এক প্রকার বারণ করছেন তিনি।
ইব্রাহিমের ইচ্ছে ছিল সে সেনাবাহিনীতে কাজ করবে তবে করোনার লকডাউনের কারণে সেই স্বপ্ন স্বপ্নই থেকে যায় তাঁর। এক কথায় ইব্রাহিম জানান যে করোনা তার “বয়স খেয়ে নেয়।” তার পরও খেলা আঁকড়ে পড়ে থেকেও বড় সুযোগ পাচ্ছিলেন না তিনি। চাকরির চেষ্টা করতে করতে হতাশ হয়ে অবশেষে সংসার চালাতে নিজের মাটি ছেড়ে পাড়ি দিয়েছেন অন্য রাজ্যে। বর্তমানে প্র্যাক্টিস থেকে বহু দূরে ইব্রাহিম। তবুও অনায়াসে ৪৫ থেকে ৫০ মিটার পর্যন্ত থ্রো করতে পারছেন তিনি।
নিজের স্বপ্ন চূর্ণ হতে দেখেও ছোট ছোট বাচ্চাদের উদ্দেশ্যে ইব্রাহিম জানান যে তিনি তাদের খেলতে বারণ করছেন না অর্থের জন্য খেলতে চাইলে বেছে নেওয়া উচিত দলগত খেলা যেমন ক্রিকেট বা ফুটবল। ইন্ডিভিজুয়াল স্পোর্টস এ ইব্রাহিমের মতে প্রচুর সাপোর্টিং এবং লাক ফ্যাক্টর কাজ না করলে আর্থিকভাবে দাঁড়ানো মুশকিল। প্রতিভা ছাড়া কোনওটাই ছিল না ইব্রাহিমের।
নীলাঞ্জন ব্যানার্জী
(Feed Source: news18.com)