একটি নতুন প্রিভেসি ফিচার নিয়ে কাজ করছে WhatsApp। এর ফলে Passkey ব্যবহার করে ব্যবহারকারীরা নিজেদের চ্যাট ব্যাকআপ এনক্রিপ্ট করতে পারবেন। Passkey হল ডিজিটাল পরিচয়পত্র। যা ট্র্যাডিশনাল পাসওয়ার্ডের পরিবর্তে ফিঙ্গারপ্রিন্ট অথবা ফেসিয়াল রেকগনিশনের মতো বায়োমেট্রিক ডেটা ব্যবহার ব্যবহার করবে। এই বৈশিষ্ট্যটি Android সংস্করণ 2.24.18.13-এর জন্য সর্বশেষ WhatsApp বিটাতে পরীক্ষা করা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।
বিটা হাইলাইটসে এই নতুন Passkey এনক্রিপশন ফিচারটি প্রথম লক্ষ্য করেছে Wabetainfo। মূলত ইউজার ডেটা সিকিউরিটি শক্তিশালী করার জন্য এমনিতেই কাজ করছে সংশ্লিষ্ট সংস্থা। আর এই নয়া ফিচার তারই অংশ। বর্তমানে ব্যাকআপের জন্য এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপশনের সুবিধা দেয় WhatsApp।
ফলে একটি কাস্টম পাসওয়ার্ড অথবা ৬৪ ডিজিট এনক্রিপশন কি-এর মাধ্যমে ইউজারদের ব্যাকআপ ডেটা সুরক্ষিত থাকে। যদিও এই পদ্ধতিগুলি উচ্চ স্তরের নিরাপত্তা প্রদান করে, এটি ব্যবহারকারীদেরকে জটিল পাসওয়ার্ড মনে রাখতে বা দীর্ঘ এনক্রিপশন কীগুলি পরিচালনা করতে নির্দেশ দেয়। যা ব্যবহারকারীদের পক্ষে পরিচালনা করা কষ্টকর এবং তাঁদের নিজস্ব ডেটা লক আউট হওয়ার ঝুঁকিও বাড়ায়।
তবে এই নতুন Passkey ফিচারের মাধ্যমে এই প্রক্রিয়াকে সরল করে দিচ্ছে WhatsApp। ফলে তাঁরা নিজেদের ফোনে ফিঙ্গারপ্রিন্ট, ফেস স্ক্যান অথবা স্ক্রিন লকের মতো বায়োমেট্রিক অথেন্টিকেশন ব্যবহার করতে পারবেন। অর্থাৎ ফোন আনলক করার জন্য ব্যবহৃত বায়োমেট্রিক মেথড ব্যবহার করেই এনক্রিপ্টেড ব্যাকআপ অ্যাক্সেস অথবা রেস্টোর করা যাবে। ফলে পাসওয়ার্ড আর এনক্রিপশন কি আর মনে রাখতে হবে না। আপাতত এটা বিটা-তে মিলছে।
WhatsApp ব্যবহারকারীদের কাছে পৌঁছতে এখনও বেশ কয়েক সপ্তাহ লেগে যেতে পারে। আর একবার এসে গেলে তা এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপ্টেড ব্যাকআপের জন্য নিরাপত্তার অতিরিক্ত সুবিধা প্রদান করবে। এখানেই শেষ নয়, আরও একটি প্রিভেসি ফিচার নিয়ে কাজ করছে WhatsApp। এর মাধ্যমে একাধিক ডিভাইসে নিজেদের কন্ট্যাক্টস কীভাবে সিঙ্ক্রোনাইজ করা যাবে, তা পরিচালনা করতে পারবেন ব্যবহারকারীরা।
(Feed Source: news18.com)