বাংলাদেশে হিন্দু নারীকে তুলে নিয়ে যাওয়ার হুমকি, খুন ছাত্রকে! প্রতিবাদ তসলিমার

বাংলাদেশে হিন্দু নারীকে তুলে নিয়ে যাওয়ার হুমকি, খুন ছাত্রকে! প্রতিবাদ তসলিমার

বাংলাদেশে প্রতি নিয়ত হিন্দুদের উপর আক্রমণ, অত্যাচার বেড়েই চলেছে। এদিন একটি ছবি পোস্ট করে তসলিমা জানান সেদেশের একটি হিন্দু মেয়েকে তুলে নিয়ে যাওয়ার বার্তা দেওয়া হয়ে প্রকাশ্যে। একই সঙ্গে একটি ছাত্রর মৃত্যুও ঘটেছে সেদেশে। দু ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন।

কী ঘটেছে?

এদিন দীনেশ চন্দ্র মজুমদার নামক এক বাংলাদেশি ব্যক্তি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ছবি পোস্ট করেন জেতার সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা। সেই ছবিতে দেখা যাচ্ছে গাছের গায়ে একটি কাগজ লাগানো আছে, সেখানে লেখা, ‘৭ দিনের মধ্যে এই বাড়ির মেয়েকে টিকে নিয়ে যাওয়া হবে। মেয়েকে মুসলিম করা হবে।’ এই হুমকি বার্তা শেয়ার করে তিনি লেখেন, ‘লিখে গাছে লাগিয়েছে, সাত দিনের মধ্যে এই বাড়ির মেয়েকে তুলে নেওয়া হবে এবং মুসলমান করা হবে। এটাই বাস্তব গুজব । হিন্দুরা যতদিন দানব রুখতে দানব হতে না পারবে , ততদিন এর থেকে মুক্তি নেই।’ সেই পোস্ট পুনরায় শেয়ার করে বাংলাদেশি সরকারের তীব্র নিন্দা করে তসলিমা লেখেন, ‘দেশে ফেক সরকার, ফেক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, অন্যায়ের বিচার নেই, অশিক্ষিত জিহাদিদের মব এসে অবলীলায় মানুষকে অত্যাচার করছে। কেউ কোনও প্রতিবাদও করছে না।’

এদিন একই সঙ্গে বাংলাদেশে ঘটে যাওয়া আরও একটি ঘটনার প্রতিবাদ করেন লেখিকা। সেই পোস্টে তিনি লেখেন, ‘১৮ বছর বয়সী খুলনার কলেজ ছাত্র উৎসব মণ্ডলকে গতকাল পিটিয়ে হত্যা করেছে একপাল জিহাদি। হত্যা করেছে সেনাবাহিনীর সামনে। হ্যাঁ সেনাবাহিনীর কেউই উৎসবকে বাঁচানোর চেষ্টা করেনি, বর্বর জিহাদি খুনীদের হাতে নিরীহ একটি তরুণকে মরতে দিয়েছে। উৎসবের দোষ কী? সে নাকি মহানবীকে নিয়ে ফেসবুকে কটূক্তি করেছিল কবে। তাই মহানবীর আদর্শে বেড়ে ওঠা মহানবীর বীর সৈনিকেরা উৎসবকে নৃশংসভাবে হত্যা করেছে। সেনাবাহিনীও ধর্মান্ধ, সেনাবাহিনীও জিহাদি এবং জঙ্গি সমর্থক।’ একই সঙ্গে এই পোস্টে তিনি সরাসরি আক্রমণ শানান ওপার বাংলার সেনাবাহিনীকে। লেখেন, ‘সেনাবাহিনীও উৎসব হত্যার উৎসবে সামিল হয়েছে। একজন হিন্দুকে খুন করলে মুসলমান জঙ্গিদের শরীরে ডোপামিন সিক্রেট হয়ে এক্সট্রা পুলক আনে।’

শুধুই কি তাই এদিন আরও একটি পোস্টে তসলিমা জানান তাঁর বাংলাদেশের কেবল জাতীয় সঙ্গীত ভালো লাগে। এই প্রসঙ্গে তিনি লেখেন, ‘জাতীয় সঙ্গীত ছাড়া আমার দেশ নিয়ে গর্ব করার বেশি কিছু পাই না আমি । প্যারিসে যখন ছিলাম, ফরাসি বন্ধুদের বলতাম, তোমাদের জাতীয় সঙ্গীত লা মারসেইয়েজ এ কেবল রক্ত নেওয়া আর খুনোখুনির কথা বলা হয়েছে, আমাদের জাতীয় সংগীতে আছে ভালবাসার কথা। আজ বেচারা দেশ আমার, জিহাদিদের কবলে। জিহাদিরা রক্ত খুন ইত্যাদি পছন্দ করে। তাদের হৃদয় ঘৃণায় টইটম্বুর। তারা ভালোবাসার মূল্য বোঝে না। সে কারণে দেশের প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ হয়েছে এমন জাতীয় সঙ্গীত তাদের ভালো লাগে না। ঘৃণ্য সাম্প্রদায়িক মানসিকতা গানটিকে ঘৃণা করে যেহেতু গানের রচয়িতা এবং সুরকার একজন অমুসলিম।’

(Feed Source: hindustantimes.com)