নিজস্ব প্রতিবেদন: বিশ্বে নতুন করে মাঙ্কিপক্সের প্রাদুর্ভাব ছড়িয়ে পড়েছে। এবার রোগটির নতুন নাম দিতে যাচ্ছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। নাম ঠিক করতে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কাজ শুরু করার কথাও জানিয়েছে তারা।
বৈষম্যহীন এবং কারও উপর অপবাদ আরোপ করে না, মাঙ্কিপক্সের এমন একটা নাম দেওয়া জরুরি, জানিয়ে গত সপ্তাহে ৩০ জন বিজ্ঞানীকে লিখিত আহ্বান জানিয়েছে ডব্লিউএইচও। তাঁরা জানিয়েছেন, ভাইরাসটিকে ‘আফ্রিকান’ বলে উল্লেখ করা যথার্থ নয় এবং এটা যথেষ্ট বৈষম্যমূলকও।
এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১৯৫৮ সালে এই ভাইরাস প্রথম শনাক্ত হয়েছিল ল্যাবরেটরিতে রাখা বানরের শরীরে। এ কারণেই এটি ‘মাঙ্কিপক্স’ পরিচিতি পায়। ১৯৭০ সালে আফ্রিকার একটি দেশে মানবদেহে প্রথম এই ভাইরাস শনাক্ত হয়। এরপর আফ্রিকার কয়েকটি দেশে বিক্ষিপ্তভাবে এর সংক্রমণ ঘটতে দেখা যায়। তবে এখন বানর নয়, একজাতীয় ইঁদুরই এই ভাইরাসের বাহক বলে মনে করা হচ্ছে।
সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলিতে বিভিন্ন দেশে মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত প্রায় ১৬০০ রোগী শনাক্ত হয়েছে। ইতিমধ্যে স্থানীয়ভাবে প্রাদুর্ভাব দেখা দেওয়া দেশগুলিতে আক্রান্ত ৭২ জনের মৃত্যু হয়েছে। মাঙ্কিপক্স প্রাদুর্ভাবকে ‘আন্তর্জাতিক জনস্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা’ ঘোষণা করা হবে কি না, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে আগামী সপ্তাহে জরুরি বৈঠকে বসার কথা জানিয়েছে ডব্লিউএইচও।
মাঙ্কিপক্স ভাইরাসের কারণেই মাঙ্কিপক্স হয়। গুটিবসন্ত ঘরানার ভাইরাস এটি। মাঙ্কিপক্সের উপসর্গ মৃদু এবং সাধারণ মানুষের আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কম। বিজ্ঞানীরা এই ভাইরাসের নতুন নাম ‘এইচএমপিএক্সভি’ রাখার প্রস্তাব দিয়েছেন।
(Source: zeenews.com)