বিপিসিএল-এর বেসরকারিকরণের প্রক্রিয়াও চলছে
সূত্রের খবর অনুযায়ী সরকার শুধু দুটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কই বেসরকারি হাতে তুলে দিয়ে প্রতিশ্রুতি বদ্ধ নয়, ভারত পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বেসরকারি হাতে তুলে দিতে চায়। বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। শীঘ্রই এর জন্য
নতুন দর আহ্বান করা হবে বলে জানা গিয়েছে।
আগের প্রক্রিয়া বাতিল করা হয়েছিল
সরকার অনেকদিন থেকেই বিপিসিএলকে বেসরকারি হাতে তুলে দিতে চায়। আগেও এর জন্য চেষ্টা করা হয়। কিন্তু আগের প্রক্রিয়ায় শুধুমাত্র একটি সংস্থা বিডিং প্রক্রিয়ায় হাজির ছিল। সেই কারণে সরকার সেই বিডিং প্রক্রিয়া
বাতিল করে। সরকারি বিপিসিএল-এর ৫২.৯৮ শতাংশ শেয়ার বিক্রির পরিকল্পনা করেছে। এর জন্য ২০২০ সালের মার্চে দরপত্র আহ্বান করেছিল। ২০২০-র নভেম্বর তিনটি সংস্থা এতে অংশগ্রহণ করে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত দুজন তাদের বিডিং প্রত্যাহার করে নেওয়ায়
একটি সংস্থা অবশিষ্ট ছিল। যে কারণে সেই বিডিং প্রক্রিয়া বাতিল করে সরকার।
সমস্যার সমাধানের পরেই বিনিয়োগ প্রক্রিয়া
সূত্রের খবর অনুযায়ী, দুই রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের বেসরকারিকরণের পথে কিছু সমস্যা রয়েছে। সেগুলি সমাধানের পরেই বিনিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করা হবে। তবে খুব তাড়াতাড়ি রাষ্ট্রায়ত্ত দুই ব্যাঙ্ক সেন্ট্রাল ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া এবং ইন্ডিয়ান ওভারসিজ ব্যাঙ্ককে বেসরকারিকরণ করা হবে। যদিও এক্ষেত্রে আরও দুটি ব্যাঙ্ক , ব্যাঙ্ক অফ মহারাষ্ট্র এবং ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়াও এই তালিকায় ছিল। নীতি আয়োগের প্রস্তাব মতো প্রথম দুটি ব্যাঙ্ককে বেছে নেওয়া হয় বিলগ্নিকরণের জন্য।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা শিলমোহর দেবে
বিলগ্নিকরণের অধীনে ক্যাবিনেট সচিবের নেতৃত্বে সচিবদের কমিটি এব্যাপারে অনুমোদন দিয়ে মন্ত্রিসভার কাছে সুপারিশ করবে। এরপর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা তাতে শিলমোহর দেবে। মোদী সরকার আগেই ব্যাঙ্কিং রেহুলেশন অ্যাক্ট সংশোধন করে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলিতে বেসরকারি বিনিয়োগের পথ খুলে দিয়েছিল। জানা গিয়েছে, আসন্ন বর্ষাকালীন অধিবেশনে সরকার এব্যাপারে বিল পাশ করাত চায়। সেক্ষেত্রে ১৯৭০ ও ১৯৮০ সালের ব্যাঙ্ক জাতীয়করণের আইনদুটি এহং ১৯৪৯
সালের ব্যাঙ্ক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধন করতে চায়। যা নিয়ে প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। এই সংশোধনী পাশ হয়ে গেলে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের বেসরকারিকরণে আর কোনও বাধা থাকবে না।