হাসি ঠিক কেমন হবে? কেন, সাহিত্যে যেমন বর্ণনা রয়েছে ঠিক তেমন, হাসলেই মুক্তো ঝরবে।
মুক্তোর মতো সাদা হবে দাঁত, নিটোল গড়ন। কিন্তু সকলের তো এমন দাঁত হয় না! তাই বিজ্ঞাপনে ভেসে বেড়ায় হাজার নিদান- কী ভাবে ঝকঝকে মুক্তোর মতো সাদা দাঁত পাওয়া যাবে। মানুষও ঘুরে মরে সেই চক্রে।
কিন্তু মুক্তোর মতো সাদা দাঁত কি আদৌ স্বাস্থ্যকর?
দন্তবিশেষজ্ঞরা কিন্তু এক বাক্যে নাকচ করে দিচ্ছেন এই সাদা দাঁতের তত্ত্ব। জেনে নেওয়া যাক বিস্তারিত।
একের পর এক টুথপেস্ট বদলেও লাভ হয় না বেশির ভাগ মানুষের। বিজ্ঞাপনী তারকার মতো ঝকঝকে দাঁত পাওয়া যায় না। বরং অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীকাকুলম জেলার বিশিষ্ট দন্তচিকিৎসক ডা. সিঙ্গুর চৈতন্য জানালেন এমন কথা, যা মানুষকে চমকে দিতে পারে।
দাঁত শুধু সাদা হওয়া মানেই এই নয় যে ব্যক্তি সুস্থ। দাঁতের আসল রঙ কী, দাঁতের আদর্শ রঙ কেমন হওয়া উচিত, তা জানেন না বেশিরভাগ মানুষই। সাধারণত, আমাদের সকলেরই ভুল ধারণা থাকে যে সাদা নয় মানেই দাঁতে সমস্যা রয়েছে। অনেকেই এমন আছেন যাঁরা দাঁত সাদা করার জন্য অনর্থক মাজামাজি করেন দিনে একাধিক বার। প্রচুর টাকা খরচ করেন ব্রাশের পিছনে। ব্যবহার করেন নানা টোটকা। এমনকী বার বার চিকিৎসকের কাছেও যান।
কিন্তু আসলে এটা একটা মিথ।
দাঁতের রঙ সকলের সাদা হয় না। বরং একেক জনের একেক রকম রঙের দাঁত হয়ে থাকে। কারও কারও ক্ষেত্রে এই রঙ নির্ভর করে তাঁর বংশের উপর। অর্থাৎ দাঁত কেমন হবে তা নির্ধারণ করে দেয় জিন।
সাধারণত দাঁত একটু হলদে আভা যুক্ত বা ক্রিম রঙের হতে পারে। যাঁরা এই হলদে ভাব তুলে একেবারে ধবধবে সাদা করে ফেলার জন্য বার বার ব্রাশ দিয়ে দাঁত ঘষেন তাঁরা আদতে নিজের ক্ষতিই করেন। এতে দাঁত সাদা হয় না। বরং এই ভাবে ঘষাঘষির ফলে দাঁতের এনামেল ক্ষয় হয়ে যায় এবং ডেন্টিন উন্মুক্ত হয়ে যায়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে, ডেন্টিন এনামেলের চেয়ে বেশি সংবেদনশীল। ফলে সেটি উন্মুক্ত হয়ে গেলে সংবেদনশীলতার সমস্যা শুরু হয়। তখন আবার চিকিৎসকের কাছে ছুটতে হয়।
(Feed Source: news18.com)