জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ‘বিদ্যুত্ বাবদ অনেক টাকা বাকি, এবার দিন!’– কদিন আগেই মুহাম্মদ ইউনূসকে এই মর্মে তাগাদা দিয়েছেন গৌতম আদানি। কিন্তু পটবদল সঙ্গে সঙ্গে। এবার আদানিকে কৌশলে মাত করল ইউনূস-পরিচালিত অন্তর্বর্তী সরকার। তারা বলল, ভারত-সহ আদানির সমস্ত প্রকল্প তারা স্ক্রুটিনি করে দেখছে। ফলে সব পক্ষকেই অপেক্ষা করতে হবে। প্রসঙ্গত, হাজার হাজার কোটি টাকা বাকি রেখেছে বাংলাদেশ সরকার– এই মর্মে কদিন আগেই ইউনূসকে একটি চিঠি লিখেছিলেন গৌতম আদানি।
কদিন আগেই বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান মুহাম্মদ ইউনূসকে একটি চিঠি লেখেন আদানি গোষ্ঠীর চেয়ারম্যান গৌতম আদানি। বাংলাদেশে পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের (বিপিডিবি) কাছ থেকে তাঁর সংস্থা ৮০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বা ৮০ কোটি ডলার পায়। ভারতীয় মুদ্রায় যা ৬ হাজার ৭১৯ কোটি ৪১ লক্ষ টাকা। বকেয়া সেই বিদ্যুৎ বিল দ্রুত মিটিয়ে দেওয়ার কথাই সেখানে লেখেন আদানি গোষ্ঠীর চেয়ারম্যান। এত টাকার বিদ্যুৎ বিল বাকি থাকায় তাঁর সংস্থাকে আর্থিক চাপে পড়তে হয়েছে বলে চিঠিতে উল্লেখ করেন তিনি।
বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে আদানি পাওয়ার। ঝাড়খণ্ডের গোড্ডা বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে তারা। ২০২৩ সালের জুনে এই বিদ্যুৎকেন্দ্র কাজ শুরু করে। বিপিডিবি-র সঙ্গে ২৫ বছর বিদ্যুৎ সরবরাহের চুক্তি করেছে আদানি পাওয়ার। এই বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য প্রতি মাসে ৯০-৯৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার পাওয়ার কথা আদানি পাওয়ারের। সেখানে তারা মাসে ৪০-৪৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার পাচ্ছে। এরই জেরে গত আট-নয় মাসে বিপুল অঙ্কের টাকা বাকি পড়েছে। আদানি পাওয়ারের বিদ্যুতের বিল মেটায় বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ড। এই বকেয়া বিল যাতে আর না বাড়ে, সেজন্য ইউনূসকে আবেদন করেন আদানি। আদানি পাওয়ারের তরফে এ-ও জানানো হয়েছিল যে, বিদ্যুৎ বিল বাকি পড়লেও বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করা হচ্ছে না।
আর এই পরিস্থিতিতেই পাল্টা চাল চালল বাংলাদেশ। বকেয়া টাকা দেওয়া না-দেওয়া নিয়ে কোনও কথা না বলে তারা স্রেফ জানিয়ে দিল, আদানি-সহ ভারতের বিভিন্ন বিজনেস গ্রুপের প্রকল্প সংক্রান্ত সব কিছু তারা স্ক্রুটিনি করে দেখছে। কোন কোন শর্তে এই চুক্তি, সেসব তদন্ত করে তারা এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।
(Feed Source: zeenews.com)