কলকাতা: গরমের মরশুম বিদায় নিয়েছে বললেই চলে! যার ফলে এসি বা শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র ব্যবহারের পালাও মোটামুটি এ বছরের মতো শেষ!
এই বিষয়টা মাথায় রেখে ঘরে ঘরে এসি প্যাক করে রাখতে শুরু করেছেন ব্যবহারকারীরা। তবে এসি প্যাক করে রাখার আগে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় মাথায় রাখা উচিত। যাতে পরের মরশুমে এসি নিয়ে সমস্যা না হয়। কিন্তু এসি-র যত্নে রাখার উপর সেভাবে কেউ নজর দেন না। অবহেলা করেন এই বিষয়টায়। যার ফলে সমস্যায় পড়তে হয় তাঁদের।
এসি প্যাক করে রাখার ক্ষেত্রে এই বিষয়গুলি মাথায় রাখা আবশ্যক।
প্যাক করার আগে এসি-র ভিতরে এবং বাইরে জমা হওয়া ধুলোবালি সব সময় পরিষ্কার করতে হবে। এসি ফিল্টার বার করে তা পরিষ্কার করতে হবে কিংবা তা বদলে নিতে হবে।
কুলিং কয়েলের সাফাই করতে হবে। শুধু তা-ই নয়, ড্রেনেজ পাইপও সঠিক ভাবে পরিষ্কার করা আবশ্যক। এসি পরিষ্কার করার পরে তা সম্পূর্ণ ভাবে শুকিয়ে নিতে হবে। এই বিষয়টি খুব জরুরি।
আসলে এসি যদি পুরোপুরি ভাবে না শুকিয়ে নেওয়া হয়, তাহলে সেটা ওই অবস্থায় প্যাকিং করলে আর্দ্রতা বাড়ে। ফলে এসি খারাপ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা প্রবল হয়ে ওঠে।
এখানেই শেষ নয়, এরপর ঘরের এসি মেশিনটিকে শক্তপোক্ত কাপড় বা প্লাস্টিকের শিট ব্যবহার করে সম্পূর্ণ রূপে ঢেকে দিতে হবে। ধুলোময়লা এবং আর্দ্রতার হাত থেকে রক্ষা পাবে এসি মেশিন। এর সঙ্গে এটাও মাথায় রাখা জরুরি যে, যেখানে সেখানে এসি ইনস্টল করা একেবারেই উচিত নয়।
আসলে এসি এমন জায়গায় লাগাতে হবে, যেখানে কোনও রকম আর্দ্রতা থাকে না। আর তাপমাত্রাও থাকে একই রকম। সেই সঙ্গে এসি-তে যেন বৃষ্টির জল না লাগে, সেদিকেও লক্ষ্য রাখা উচিত।
এছাড়া এসি-র সমস্ত যন্ত্রাংশ আলাদা আলাদা ভাবে প্যাক করতে হবে। যাতে তা ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। এর পাশাপাশি রিমোট কন্ট্রোল, ম্যানুয়াল এবং অন্যান্য সামগ্রীও সুরক্ষিত রাখতে হবে। এতে পরের মরশুমে প্রয়োজনের সময় এসি-র প্যাকিং খুলতেও দারুণ সুবিধা হবে।
(Feed Source: news18.com)