অভিনেত্রীকে হেনস্থা! মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার, ডিজি-সহ ৩ পুলিশকর্মী সাসপেন্ড

অভিনেত্রীকে হেনস্থা! মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার, ডিজি-সহ ৩ পুলিশকর্মী সাসপেন্ড

সুষ্ঠু তদন্ত ছাড়াই মুম্বইয়ের মডেল কাদম্বরী জেঠওয়ানিকে অন্যায়ভাবে গ্রেফতার ও হয়রানির ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ইন্ডিয়ান পুলিশ সার্ভিসের (ডিজি) তিন সিনিয়র পুলিশ অফিসারকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে অন্ধ্রপ্রদেশ সরকার, যার মধ্যে রয়েছেন একজন ডিজি পদমর্যাদার পুলিশ অফিসার।

প্রাক্তন গোয়েন্দা প্রধান পি সীতারামা অঞ্জনেয়ুলু (ডিজি পদমর্যাদা), বিজয়ওয়াড়ার প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার ক্রান্তি রানা টাটা (ইন্সপেক্টর জেনারেল পদমর্যাদার) এবং প্রাক্তন ডেপুটি কমিশনার অফ পুলিশ বিশাল গুন্নি (সুপারিনটেনডেন্ট পদমর্যাদার)-কে এই মামলায় তাদের ভূমিকা নিয়ে তদন্তের পরে সাসপেন্ড করা হয়েছে। এই ঘটনা নিয়ে জনসমক্ষে কম প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়নি অন্ধ্র সরকারকে।

অগস্টে মাসে কাদম্বরী এনটিআর পুলিশ কমিশনার এস ভি রাজশেখর বাবুর কাছে একটি আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। কংগ্রেস পার্টির নেতা এবং চলচ্চিত্র প্রযোজক কে ভিআর বিদ্যাসাগরের সাথে হাত মিলিয়ে অভিযুক্ত তিন পুলিশ অফিসার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছেন বলে অভিযোগ আনেন তিনি। ফেব্রুয়ারি মাসে মডেলে বিরুদ্ধে জালিয়াতি ও তোলাবাজির মামলা দায়ের করেছিলেন ওই প্রযোজক।

কাদম্বরীর অভিযোগ, প্রযোজক বিদ্যাসাগরের সঙ্গে ষড়যন্ত্র করে ওই পুলিশ আধিকারিকরা কোনও আগাম নোটিশ ছাড়াই তাঁকে এবং তাঁর মা-বাবা-কে গ্রেফতার করে এবং মুম্বই থেকে বিজয়ওয়াড়ায় নিয়ে যায়। পুলিশ তাকে এবং তার বৃদ্ধ বাবা-মাকে বেআইনিভাবে আটকে রেখেছিল, এবং ৪০ দিন পর্যন্ত বিচারবিভাগীয় হেফাজতে রেখেছে।

জেঠওয়ানির আইনজীবী এন শ্রীনিবাস অভিযোগ করেন, বিদ্যাসাগর জেঠওয়ানি ও তাঁর পরিবারকে ফাঁসানোর জন্য জমির জাল নথি তৈরি করেছিলেন এবং পুলিশ বেশ কয়েকদিন ধরে তাদের জামিনের আবেদন করতে দেয়নি।

অঞ্জনেয়ুলুকে সাময়িক বরখাস্ত করার বিষয়ে একটি সরকারি আদেশে বলা হয়েছে যে ‘গুরুতর অসদাচরণ এবং কর্তব্যে অবহেলার’ প্রাথমিক প্রমাণ মেলার কারণে এই সিদ্ধান্ত।

তদন্তে জানা গিয়েছে, এফআইআর দায়ের হওয়ার আগেই অঞ্জনেয়ুলু অন্য দুই অফিসারকে ওই মডেলকে গ্রেফতার করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। ২ ফেব্রুয়ারি এফআইআর দায়ের করা হয়, ৩১ জানুয়ারি তাকে গ্রেফতারের নির্দেশ জারি করা হয় বলে অভিযোগ। এই তিন অফিসারই ১৬ জন আইপিএস কর্মীর মধ্যে রয়েছেন, যাঁদের আগে একটি মেমো জারি করা হয়েছিল, যাতে তাদের অফিসিয়াল পোস্টিং ছাড়াই দিনে দু’বার পুলিশের মহাপরিচালকের অফিসে রিপোর্ট করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।

(Feed Source: hindustantimes.com)