সফ্টওয়্যার ডেভেলপারের চাকরি হারিয়ে Swiggy ডেলিভারি বয়! কীভাবে কাটছে দিন

সফ্টওয়্যার ডেভেলপারের চাকরি হারিয়ে Swiggy ডেলিভারি বয়! কীভাবে কাটছে দিন

সফ্টওয়্যার ডেভেলপার হিসাবে কাজ করতেন আগে। কিছু সময়ের মধ্যেই হারান চাকরি। পেটের দায়ে শুরু করেন সুইগির ডেলিভারি পার্টনারের কাজ। কোনও কাজই ছোট নয়। কিন্তু স্বপ্নের একটা জায়গা ছেড়ে, অন্য জায়গায় অর্থ উপার্জনের জন্য আসার বিষয়টা মেনে নেওয়া চাপের হয়ে দাঁড়ায় অনেকের জন্যই। তাহলে ওই যুবক কীভাবে সামলে নিলেন নিজেকে? এদিন সেই গল্পই শেয়ার করলেন লিঙ্কডইন-এ।

লিঙ্কডইন পোস্টে যা লিখেছেন

যুবকের নাম রিয়াজউদ্দিন। তাঁর লিঙ্কডইন পোস্টটি বেশ ভাইরাল হয়েছে এখন। কর্মজীবনের কঠিন সময় পেরিয়ে আসা নিয়ে তাঁর অভিজ্ঞতা, নেটিজেনদের চোখে জল এনেছে। অনেককে অনুপ্রাণিতও করেছে।

পোস্টটির শিরোনাম দিয়েছেন, ‘এ জার্নি অফ রেজিলিয়েন্স: মাই ফেয়ারওয়েল টু সুইগি’। অর্থাৎ কঠিন বাস্তবতার সম্মুখীন হয়েও, মনকে শান্ত রেখে জীবনে এগিয়ে যাওয়ার প্রতিটি পর্যায়। সুইগি থেকে চলে যাওয়ার সময়, সেই দিনগুলোই একবার ফিরে দেখা ওই যুবকের।

পোস্টে, রিয়াজউদ্দিন বলেছেন, ‘কয়েক মাস আগে, জীবন একটি অপ্রত্যাশিত মোড় নেয়। আমাকে চাকরি থেকে ছাঁটাই করা হয়। কাজ চলে যাওয়ার কারণে, আমি নিজেকে আর্থিকভাবে সংগ্রাম করতে দেখেছি। এরপর, সবটা ঝেড়ে ফেলে আমি সুইগি ডেলিভারি পার্টনার হিসেবে কাজ করার সিদ্ধান্ত নিই।’

ভোরে খাবার ডেলিভারি দিতে যাওয়া, গভীর রাতে খাবার হাতে এগিয়ে যাওয়া, রোদ, বৃষ্টির দিনেও একইভাবে কঠোর পরিশ্রমের কথা এদিন মনে পড়েছে তাঁর।

রিয়াজউদ্দিনের কথায়, ভরাডুবির দিনে সুইগি তাঁকে ভাসতে শিখিয়েছে। সুইগিতে কাজ তাঁকে শুধু অর্থই দেয়নি। জীবনের প্রতিটি ধাপ আগলে বটগাছ হয়ে বাঁচতে শিখিয়েছে।

তিনি বলেছেন, ‘সুইগি ডেলিভারি পার্টনার হিসাবে কাজের মাসগুলি আমাকে শুধু আর্থিক সহায়তার চেয়েও বেশি কিছু দিয়েছে। তারা আমাকে ধৈর্য, নম্রতার অমূল্য পাঠ দিয়েছে। আমার ডেলিভারি করা প্রতিটি অর্ডার আমাকে আরও শক্তিশালী করেছে।’

পোস্টে রিয়াজউদ্দিন জানান, তিনি এখন একটি নতুন কোম্পানিতে চাকরি শুরু করেছেন। তিনি তার পোস্টটি শেষ করেছেন পাঠকদের একটি বিশেষ পরামর্শ দিয়ে। রিয়াজউদ্দিনের মতে, ‘যদি কেউ এই মুহূর্তে একটি কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে যান, তাহলে সেখানেই দৃঢ় হয়ে থাকুন। সময় আসবে। কখনও কখনও, জীবনের অপ্রত্যাশিত গতিপথ আমাদের উন্নতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়, যা আমরা কল্পনাও করিনি।’

যুবকের কষ্টের কথায় চোখে জল আসবেই (Linkedin/ Riyazuddin A – Screenshot)

নেটিজেনদের প্রতিক্রিয়া

পোস্টটি পড়ে ভীষণ অনুপ্রাণিত হয়েছেন নেটিজেনরা। একজন লিখেছেন, ‘বলতেই হবে, আপনি একজন দায়িত্বশীল পারিবারিক যোদ্ধা। আপনার জন্য শুভকামনা ভাই।’ অন্য একজন আবার মন্তব্য করেছেন, ‘বাহ, আপনার গল্পটি মেঘলা দিনে সূর্যের আলোর রশ্মি! আরও ভালো থাকুন এবং এই নতুন অধ্যায়ে আপনি যে আশ্চর্যজনক জিনিস অর্জন করবেন, তা দেখার জন্য আমি অপেক্ষায়।’ তৃতীয় একজনের কথায়, ‘জীবনের এই কঠিন পরিস্থিতি আপনাকে একজন শক্তিশালী মানুষ করে তোলে। অনুপ্রেরণামূলক গল্পই বটে’।

(Feed Source: hindustantimes.com)