টিউশন ফি জমা না দিতে পারায় হাতছাড়া হয় IIT-র সিট, দলিত পড়ুয়ার পাশে দাঁড়াল শীর্ষ আদালত

টিউশন ফি জমা না দিতে পারায় হাতছাড়া হয় IIT-র সিট, দলিত পড়ুয়ার পাশে দাঁড়াল শীর্ষ আদালত

নয়া দিল্লি: আইআইটি ধানবাদে সুযোগ পেয়েছিলেন পড়ার। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সেই কলেজের টিউশন ফি জমা দিতে না পারায় হাতছাড়া হয়েছিল আইআইটিতে পড়ার সুযোগ। শেষ সুযোগে আইআইটিতে পড়ার প্রবেশিকা পরীক্ষায় (IIT Exam) উত্তীর্ণ হয়ে বহু কষ্ট করে নিজের জন্য সিট অর্জন করেছিলেন সেই পড়ুয়া, আর পড়ার জন্য অ্যাক্সেপ্ট্যান্স ফি হিসেবে তাঁকে জমা দিতে হত ১৭ হাজার ৫০০ টাকা। কিন্তু দারিদ্র্য এত প্রবল যে সেই কম সময়ের মধ্যে এত টাকা জোগাড় করে জমা করা তাঁর পক্ষে সম্ভব হয়নি। হাতছাড়া হয়েছিল সুযোগ। কিন্তু পাশে দাঁড়িয়েছে শীর্ষ আদালত (Supreme Court)। সেই দরিদ্র দলিত পড়ুয়াকে সর্বপ্রকারে আর্থিক সাহায্য করবে সুপ্রিম কোর্ট

মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় এবং বিচারপতি জেবি পর্দিওয়ালা ও মনোজ মিশ্রর বেঞ্চ থেকে দলিত পড়ুয়া অতুল কুমারকে জিজ্ঞাসা করা হয় যেখানে আইআইটিতে সুযোগ পাওয়ার পরে টাকা জমা দেওয়ার শেষ দিন যেখানে ছিল ২৪ জুন, সেখানে এই তিন মাস তিনি কী করছিলেন। পরীক্ষায় পাশ করে পড়ার সুযোগ পাওয়ার পঅর সিট ব্লক করে রাখার জন্য অতুল কুমারের পরিবারকে জমা করতে হত ১৭,৫০০ টাকা, কিন্তু ২৪ জুনের ডেডলাইনের মধ্যে সেই টাকা জমা করাতে পারেননি অতুলের অভিভাবকরা।

এর আগে অতুলের অভিভাবকরা এত পরিশ্রম করে পাওয়া আইআইটির সিট সংরক্ষণের দাবি নিয়ে মাদ্রাজ উচ্চ আদালত, ঝাড়খন্ড লিগাল সার্ভিসেস অথরিটি এবং ন্যাশনাল কমিশন ফর শিড্যুল কাস্টস দফতরে আর্জিও জানিয়েছিলেন। এবার শীর্ষ আদালতে মঙ্গলবার বেঞ্চকে অতুল কুমারের কাউন্সেল জানায় যে জয়েন্ট এন্ট্রান্স অ্যাডভান্সড পরীক্ষাতে দ্বিতীয়বার অর্থাৎ শেষবারের চেষ্টায় পাশ করে আইআইটিতে পড়ার সুযোগ পেয়েছিলেন, এখন শীর্ষ আদালত তাঁর পাশে না দাঁড়ালে আর পড়া এগোনো হবে না অতুলের। তারপরেই কিছু সিদ্ধান্ত স্থির করে আইআইটি মাদ্রাজের জয়েন্ট সিট অ্যালোকেশন অথরিটিকে একটি নোটিশ ইস্যু করেন। মাত্র ৪ দিনের মধ্যে অতুলের পরিবারের পক্ষে ১৭,৫০০ টাকা জমা করা অসম্ভব ছিল।

উত্তরপ্রদেশের মুজফফরনগর জেলার টিটোরা গ্রামে এমন এক পরিবারে জন্ম হয় অতুলের, তাঁর পরিবার ছিল দারিদ্র্য সীমার নিচে। অতুলের বাবা দিনমজুরের কাজ করতেন। সিট যাতে না চলে যায় তার জন্য কম দৌড়ঝাঁপ করেননি তারা। কিন্তু অবশেষে শীর্ষ আদালতের কাছে এসে বিচার পেলেন।

(Feed Source: abplive.com)