‘আমায় মারত.. অত্যাচারে ক্লান্ত’, মহালক্ষ্মী খুনে সন্দেহভাজনের ডাইরিতে মিলল নোট

‘আমায় মারত.. অত্যাচারে ক্লান্ত’, মহালক্ষ্মী খুনে সন্দেহভাজনের ডাইরিতে মিলল নোট

বেঙ্গালুরুতে মহালক্ষ্মী হত্যাকাণ্ডে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠতে শুরু করেছে। এই হত্যাকাণ্ডে আগেই পুলিশ বেঙ্গালুরুতে এক বাড়ির ভিতর থেকে ফ্রিজে রাখা ৫৯ টি দেহখণ্ড উদ্ধার করেছে। অভিযোগ, মহালক্ষ্মীকে হত্যা করে সন্দেহভাজন ৫৯ টি টুকরো করে, তাঁর দেহ ফ্রিজে রেখে দেয়। সন্দেহভাজন হিসাবে উঠে আসে মুক্তিরঞ্জন রায়ের নাম। সদ্য ওড়িশার ভদ্রকে মুক্তিরঞ্জনের ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। এদিকে পুলিশ হাতে পেয়েছে মুক্তিরঞ্জনের ডাইরি।

পুলিশ বলছে, সন্দেহভাজন মুক্তিরঞ্জনের ডাইরি থেকে উদ্ধার হয়েছে একটি নোট। সেই নোটে লেখা রয়েছে,’ অনেকবার বিয়েতে রাজি না হওয়ায় আমায় শারীরিকভাবে মারধর করত। আমি ওঁর অত্যাচারে ক্লান্ত ছিলাম। তাই খুন করেছি।’ এদিকে, মুক্তিরঞ্জনের ভাই সত্য বলছেন, মহালক্ষ্মী বারবার চাইতেন যে যাতে তাঁরা বিয়ে করে নেন। এই নিয়ে মহালক্ষ্মী মুক্তিরঞ্জনের উপর চাপ দিতেন বলে জাবি সত্যর। এই বিয়ে নিয়েই দুজনের মধ্যে ঝগড়া, ঝামেলা লেগে থাকত বলে জানান সত্য। সত্য়র দাবি মহালক্ষ্মী বারবার সোনা আর টাকা চাইতেন মুক্তিরঞ্জনের থেকে।

এদিকে, প্রশ্ন ওঠে, কেন মুক্তিরঞ্জন আত্মহত্যার পথ বেছে নিলেন? পুলিশ মনে করছে গ্রেফতারির ভয়েই মুক্তিরঞ্জন আত্মহননের পথ বেছে নেন। পুলিশের অনুমান প্রথম থেকেই ছিল যে সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম দিকে মহালক্ষ্মীকে খুন করা হয়। এদিকে, মহালক্ষ্মী খুনের সূত্র ধরে পুলিশের কাছে আসে মুক্তিরঞ্জনের নাম। সন্দেহভাজন হিসাবে মুক্তিরঞ্জনের নাম সামনে আসতেই, ওড়িশার দিকে রওনা হয় তদন্তের দায়িত্বে থাকা কর্ণাটক পুলিশ। এদিকে, তারপরই জানা গিয়েছে, ওড়িশার ভদ্রকের এক এলাকায় গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় মুক্তি রঞ্জনের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে।

মুক্তিরঞ্জনের ভাই সত্য বলছেন, ‘আমার ভাই বলেছিল, ৩ সেপ্টেম্বর রাতে ঝগড়ার পর ও তাঁকে (মহালক্ষ্মীকে) গলায় ফাঁস দিয়ে মেরেছে।’ সত্য এরপর বলেন,’ ওঁর (মহালক্ষ্মী) দেহ খণ্ড খণ্ড করেছিল আর টুকরোগুলো ফ্রিজে রেখেছিল।’ সত্যের দাবি, ‘ভাইকে উনি (মহালক্ষ্মী) অত্যাচার করতেন। ওঁরা দুজনে কেরল গিয়েছিল, সেখানে ব্যাপক ঝগড়া হয়েছিল ওঁদের। তারপর পুলিশের কাছে গিয়ে উনি (মহালক্ষ্মী) অভিযোগ করেন যে আমার ভাই তাঁকে অপহরণ করে নিয়ে এসেছে। তারপর পুলিশ আমার ভাইকে খুব মারধর করে, তারপর জেল থেকে ছেড়ে দেয়।’ এখনও পর্যন্ত যা তদন্তের রিপোর্ট, তাতে পুলিশ মনে করছে, আত্মদংশনের জেরে মুক্তিরঞ্জন আত্মহত্যা করেছেন।

(Feed Source: hindustantimes.com)