#নয়াদিল্লি: কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে ভারতীয় সেনায় অগ্নিবীর নিয়োগের জন্য অগ্নিপথ প্রকল্পের ঘোষণা করা হয়েছিল কয়েকদিন আগেই। কিন্তু সেই প্রকল্প নিয়েই হঠাৎ উত্তাল হয়ে উঠল দেশের বিভিন্ন অংশ। বলা হয়েছিল, চার বছরের চুক্তিতে ভারতীয় সেনা, বায়ুসেনা ও নৌসেনায় নিয়োগ করা হবে। কিন্তু চার বছরের মেয়াদে এই চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের বিষয়টি নিয়েই আপত্তি তুলেছেন অনেকে। অনেকেই বলছেন, এ ভাবে সেনায় নিয়োগ প্রক্রিয়া তাঁরা মানবেন না, আগের নিয়মে নিয়োগ করতে হবে। সেই দাবিতে বিহার, উত্তরপ্রদেশ-সহ একাধিক রাজ্যে আন্দোলনে নেমেছে যুব সম্প্রদায়। কোথাও কোথায় চরম আকার ধারণ করেছে সেই প্রতিবাদ।
বিহারের একাধিক অংশে খণ্ডযুদ্ধে জড়িয়ে পড়েন এই প্রতিবাদীদের একাংশ। নওয়াদায় আক্রান্ত হয় বিজেপি বিধায়ক অরুণা দেবীর একটি গাড়ি। তাঁকে লক্ষ্য করে পাথর ছোড়া হয় বলে অভিযোগ। ঘটনায় পাঁচ জন আহত হন। পরিস্থিতি নিয়্ন্ত্রনে আনতে লাঠি চালায় পুলিশ। এই নিয়ে প্রতিবাদে ছাপড়া রেলওয়ে স্টেশনেও রেল অবরোধ করে ক্ষুব্ধরা। সেখানে তাঁরা ভাঙচুর শুরু করে ট্রেনে। বারাউনি-গোন্দিয়া এক্সপ্রেসে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। ছাপড়া জংশনের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রেনের বেশ কয়েকটি বগি পুড়ে ছাই হয়।
হরিয়ানায় গুরুগ্রামেও অগ্নিপথ বিরোধী প্রতিবাদ হয়। রেওযারি, পালওয়ালের মতো স্থানে অগ্নিপথ স্কিমের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে নামে যুবরা। সেখানে বড় রাস্তা আবরোধ করা হয়। অবরোধ তুলতে গেলে উত্তেজিত জনতা পুলিশের উপর চড়াও হয়, গাড়ি ভাঙচুর করা হয় পুলিশের। এ ছাড়া গুরুগ্রামের বিলাসপুর ও সিদ্ধারাওয়ালি এলাকায় রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে থাকা বাসে আগুন ধরিয়ে দেয় উত্তেজিত জনতা। বিলাসপুর চকেও আন্দোলনরতরা রাস্তা অবরোধ করে।
এ ছাড়া উত্তরপ্রদেশের বুলন্দশহরের খাজুরা এলাকায় কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে বড় একটি প্রতিবাদ হতে দেখা গিয়েছে। সেখানেও পুলিশের সঙ্গে হাতাহাতি হয়। এ ছাড়া বালিয়াতেও একই রকমের আন্দোলনের খবর এসেছে। জন ষাটেকের একটি দল কোটওয়ারি এলাকার একটি রাস্তায় প্রতিবাদ করে। সেখানে পুলিশের সঙ্গে কথা বলে তাঁরা আন্দোলন তুলে নেন। এ ছাড়া দিল্লির নাঙ্গলোই রেলওয়ে স্টেশনের বৃহস্পতিবার সকাল পৌনে দশটা নাগাদ বেশ কয়েজন রেল অবরোধ করে অগ্নিপথ প্রকল্পের প্রতিবাদে।