৩ প্যাকেট বিষ, ৫ গ্লাস, ১ চামচ পড়ে বাড়িতে- উদ্ধার ৪ যুবতী মেয়ে ও বাবার মৃতদেহ

৩ প্যাকেট বিষ, ৫ গ্লাস, ১ চামচ পড়ে বাড়িতে- উদ্ধার ৪ যুবতী মেয়ে ও বাবার মৃতদেহ

দেহে কোনও আঘাতের চিহ্ন নেই। ঘরের মধ্যে পড়ে আছে তিন প্যাকেট বিষ। পাঁচটি গ্লাস। একটি চামচ। এমনই অবস্থায় দক্ষিণ-পশ্চিম দিল্লির বসন্ত কুঞ্জ এলাকার একটি ভাড়াবাড়ি থেকে এক ব্যক্তি এবং তাঁর চার মেয়ের দেহ উদ্ধার করা হল। আর তা নিয়ে রহস্য তৈরি হয়েছে। দেহে কোনও আঘাতের চিহ্ন না থাকায় প্রাথমিকভাবে পুলিশ অনুমান করছে যে প্রথমে চার মেয়েকে হত্যা করেছেন ৪৬ বছরের ব্যক্তি। তারপর বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে পুলিশের তরফে প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হচ্ছে। পরিবারের তরফে দাবি করা হয়েছে যে ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে বছরখানেক আগে তাঁর স্ত্রী’র মৃত্যু হয়েছিল। পারিবারিক বিষয় থেকে ক্রমশ দূরে সরে যাচ্ছিলেন। মেয়েদের চিকিৎসার জন্যও অনেকটা সময় ব্যস্ত থাকতেন বলে দাবি করা হয়েছে। তাঁর দুই মেয়ে বিশেষভাবে সক্ষম ছিলেন।

কীভাবে তাঁদের দেহ উদ্ধার করা হল?

দিল্লি পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে বসন্ত কুঞ্জের রঙ্গপুরী এলাকার একটি আবাসনের প্রথম তলের ফ্ল্যাট থেকে দুর্গন্ধ আসছিল। সেই বিষয়টি আবাসনের কেয়ারটেকারকে জানান স্থানীয় বাসিন্দারা। কেয়ারটেকার আবার মালিককে পুরোটা জানান। খবর দেওয়া হয় পুলিশকে। প্রাথমিকভাবে দরজায় ধাক্কা দিয়ে ডাকাডাকি করা হয়। কিন্ত কোনও সাড়া না মেলায় দমকলের সাহায্যে দরজা ভেঙে ঘরের মধ্যে ঢোকে পুলিশ। ঘরে ঢুকে পাঁচজনের দেহ দেখতে পান পুলিশকর্মীরা।

যুবতীদের বয়স ২০ থেকে ২৬-র মধ্যে

পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, শুক্রবার বিকেলের দিকে তাঁদের দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। প্রত্যেকের দেহেই পচন ধরে গিয়েছিল। ওই ব্যক্তির দেহ একটি ঘরে পড়েছিল। চার যুবতীর মৃতদেহ পড়েছিল অপর ঘরে। তাঁদের একজনের বয়স ২৬। বাকিদের বয়স হল ২৪, ২৩ এবং ২০। প্রতিবেশীরা দাবি করেছেন, কেউই বেশি বাড়ি থেকে বেরোতেন না। বিশেষত যুবতীরা ঘরেই থাকতেন। গত মঙ্গলবার তাঁদের শেষবার দেখেছিলেন।

জানুয়ারি থেকে কাজে যাননি ওই ব্যক্তি

বিষয়টি নিয়ে দিল্লি পুলিশের ডেপুটি কমিশনার (দক্ষিণ-পশ্চিম) রোহিত মীনা জানিয়েছেন, প্রতিবেশী এবং পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গিয়েছে যে ওই ব্যক্তি ২৮ বছর ধরে বসন্ত কুঞ্জের ‘ইন্ডিয়ান স্পাইনাল ইনজুরি সেন্টার’-এ কাজ করতেন। মাসে মোটামুটি ২৫,০০০ টাকা বেতন পেতেন। কিন্তু গত বছর স্ত্রী মারা যাওয়ার পর থেকে সাংসারিক বিষয় থেকে দূরে সরে যেতে থাকেন। চলতি বছরের জানুয়ারির পর থেকে কাজেও যাননি বলে দাবি করা হয়েছে।

হেল্পলাইন নম্বর : ওয়ালাইফ ফাউন্ডেশন – ৭৮৯৩০৭৮৯৩০

(Feed Source: hindustantimes.com)