ভারতের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র চলছে বলে অভিযোগ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। হরিয়ানা বিধানসভা নির্বাচনে ঐতিহাসিক জয়ের পরে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নয়াদিল্লিতে বিজেপির সদর দফতরে দলের কর্মী-সমর্থকদের উদ্দেশ্যে ভাষণে মোদী বলেন, ‘কিছু সময় ধরেই ভারতের বিরুদ্ধে অনেক ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। ভারতের গণতন্ত্র, ভারতকে অর্থব্যবস্থা, ভারতের সামাজিক কাঠামোকে দুর্বল করার জন্য বহুরকমের ষড়যন্ত্র চলছে। আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র চলছে।’ সেইসঙ্গে তিনি দাবি করেন, সেই আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের চক্রের সঙ্গে যুক্ত আছে কংগ্রেসের মতো দলগুলি। তাঁর কথায়, ‘আমি অত্যন্ত দায়িত্ব সহকারে আজ প্রিয় দেশবাসীকে বলছি যে দেশের বিরুদ্ধে এই ষড়যন্ত্রে যুক্ত আছে কংগ্রেস এবং তার সহযোগী দলগুলি। দেশপ্রেমিক হরিয়ানার মানুষরা সেটার যোগ্য জবাব দিয়েছেন।’
মোদী কী কী বলেছেন আর?
মোদী: আজ নবরাত্রির ষষ্ঠী। আর দেবী ক্যাতায়নীর আরাধনা করা হয়। আর তাঁর হাতে পদ্মফুল আছে। আজকের সেই পবিত্র দিনেই হরিয়ানায় ঐতিহাসিক জয়লাভ করেছে বিজেপি। কোনও দল একটানা তিনবার জয়লাভ করেনি।
মোদী: গীতার মাটিতে সত্যের জয় হয়েছে। গীতার মাটিতে বিকাশের জয় হয়েছে। গীতার মাটিতে সুশাসনের জয় হয়েছে।
মোদী: আজ মিথ্যেকে মাত দিয়েছে উন্নয়নের গ্যারান্টি। এটা ভারতের সংবিধানের জয়। এটা ভারতের গণতন্ত্রের জয়। এই নির্বাচনের ফল অনেক দূরে পৌঁছে যাবে।
মোদী: কংগ্রেসের কুশাসনে বিজেপি ইতি টেনেছিল বলে দু’দশকেরও বেশি সময় ধরে গুজরাট এবং মধ্যপ্রদেশের মানুষ আমাদের আশীর্বাদ দিচ্ছেন। অরুণাচল প্রদেশ এবং গোয়ার মানুষ টানা দু’বার আশীর্বাদ দিচ্ছেন বিজেপিকে। যেখানে বিজেপি সরকার তৈরি হয়, সেখানকার মানুষ বছরের পর বছর ধরে পদ্মশিবিরকে সমর্থন করেন।
আর কংগ্রেসের ক্ষেত্রে কবে এমন হয়েছে? সেই ১৩ বছর আগে এরকম হয়েছিল। ২০১১ সালে কংগ্রেসের সরকার ক্ষমতায় ফিরেছিল অসম। একবার বের করে দেওয়ার পরে কংগ্রেসকে আর ঢুকতে দেয়নি অধিকাংশ রাজ্য। দেশের অধিকাংশ রাজ্যই কংগ্রেসের জন্য নো-এন্ট্রি লাগিয়ে দিয়েছে।
মোদী: পরজীবী পার্টিতে পরিণত হয়েছে কংগ্রেস। যেখানে একা লড়াই করেছে, সেখানে ডুবেছে। জোটসঙ্গী ছাড়া চলতে পারে না। লোকসভা নির্বাচনেও একই ছবি ধরা পড়েছিল। আবার যে জোটসঙ্গীরা কংগ্রেসকে বিশ্বাস করেছিল, তাদের নৌকাও ডুবে গিয়েছে।
(Feed Source: hindustantimes.com)