‘আমাদের ভালোবাসার টেনিসকে তুমি গর্বিত করেছ,’ রাফার অবসরে আবেগঘন বার্তা ফেডেরারের

‘আমাদের ভালোবাসার টেনিসকে তুমি গর্বিত করেছ,’ রাফার অবসরে আবেগঘন বার্তা ফেডেরারের

টেনিস থেকে অবসর ঘোষণার কথা জানিয়েছেন রাফায়েল নাদাল। দীর্ঘ দু দশক পর অবশেষে টেনিস কোর্টকে বিদায় জানালেন তিনি। বয়স বলছে ৩৭ পেরিয়ে গেছে, তাই মন চাইলেও ফিটনেস আর চাইছিল না। এমনিতে কথায় আছে বয়স একটা সংখ্যামাত্র, সেটা রজার ফেডেরারও প্রমাণ করে দিয়েছিলেন। কিন্তু নাদাল বরাবরই একটু চোট প্রবণ খেলোয়াড়। ফলে তাঁর কাছে কাজটাও কঠিন।

২০২০ সালে রজার ফেডেরারের রেকর্ড ছাপিয়ে গিয়ে টেনিস বিশ্বের সর্বোচ্চ গ্র্যান্ডস্লামের মালিক হয়েছিল রাফায়েল নাদাল। প্রথমবার কিংবদন্তি সুইস তারকা ফেডেরারের সঙ্গে রাফার দেখা হয়েছিল ২০০৪ সালে, তখন নাদালের বয়স ছিল মাত্র ১৭। আর ক্রমতালিকায় স্থান ছিল ৩৪। ২০ বছর পর যখন তিনি থামলেন, ততদিনে কেরিয়ারে কোনও বড় ট্রফি জেতাই আর বাকি নেই রাফার।

‘তোমার খেলা দেখা গর্বের ব্যাপার…’

এক সময়ের চিরপ্রতিদ্বন্দি হলেও কোর্টের বাইরে বরাবরই অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রজার ফেডেরার এবং রাফায়েল নাদালের। বিদায় লগ্নে তাই রাফাকে শুভেচ্ছায় ভাসালেন সুইস কিংবদন্তি। স্প্যানিশ তারকাকে নিয়ে ফেডেক্স লিখলেন, ‘অনেক অনেক ধন্যবাদ আমাদের প্রিয় খেলায় এতগুলো স্মৃতি দেওয়ার জন্য, যেগুলো আমরা কখনও ভুলতে পারব না। তোমায় তোমার কৃতিত্বের জন্যেও শুভেচ্ছা, আমাদের কাছে তোমা খেলার দেখা গর্বের ব্যাপার ’।পরিসংখ্যানে এগিয়ে নাদাল…

২০০৪ সাল থেকে শুরু হওয়া দ্বৈরথ এসে শেষ হয়েছিল ২০২২ সালে লেভার কাপে। যখন শেষবার টেনিস কোর্টে মুখোমুখি হয়েছিলেন রজার ফেডেরার এবং রাফায়েল নাদাল। পরিসংখ্যান বলছে হেড টু হেডে এগিয়ে স্প্যানিশ তারকা। রাফা জিতেছেন ২৪টি ম্যাচ, ফেডেরারের ঝুলিতে ১৬টি ম্যাচ। গ্র্যান্ডস্লাম জয়ের নিরিখেও ৬-৩ ফলে এগিয়ে রয়েছেন রাফায়েল নাদালই। যার মধ্যে অন্যতম স্মরণীয় জয় অবশ্যই ২০০৮ উইম্বলডনে। ফেডারারকে কি বলেছিলেন নাদাল?

২০২২ এর সেপ্টেম্বরে যখন রজার ফেডেরার খেলা ছেড়েছিলেন তখন ৪১ বছর বয়সী সুইস তারকাকে নিয়ে নাদাল বলেছিলেন, ‘তুমি খেলা থেকে চলে যাচ্ছ মানে, আমারও জীবনের একটা অংশ যেন ছিন্ন হয়ে যাচ্ছে। ওর কেরিয়ারের অঙ্গ হতে পেরে নিজেকে গর্বিত বোধ করছি। তবে আরও ভালো লাগছে এতদিনের লড়াইয়ের পরেও আমরা বন্ধু হিসেবেই কোর্ট ছাড়তে পারছি’।

রজার ফেডেরারের ২০টি গ্র্যান্ডস্লামের রেকর্ড যখন নাদাল ভেঙেছিলেন,তখনও নাদালের কৃতিত্বকে কুর্নিশ জানিয়েই ফেডেরার বলেছিলেন, এটি ক্রীড়ক্ষেত্রেই বৃহত্তম কীর্তিগুলোর মধ্যে অন্যতম। সঙ্গে এও জানিয়েছিলেন, ইচ্ছা হলেই তিনি রাফাকে ফোন করে কথা বলেন। আর একবার কথা বলা শুরু করলে, তা আর শেষই হতে চায় না।

(Feed Source: hindustantimes.com)