Lawrence Bishnoi: ‘লরেন্স বিষ্ণোই আসলে ভারত সরকারের হিটম্যান!’

Lawrence Bishnoi: ‘লরেন্স বিষ্ণোই আসলে ভারত সরকারের হিটম্যান!’

 

জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: মহারাষ্ট্রের প্রাক্তনমন্ত্রী বাবা সিদ্দিকিকে হত্যার পর লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাংয়ের টার্গেটে এখন সলমান খান ও স্টান্ডআপ কমেডিয়ান মুনাওয়ার ফারুকি। সাতশো হিটম্যানকে নিয়ে গড়া তার গ্যাং এখন মুম্বইয়ের ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির দখল নিতে চাইছে, এমনটাই মনে করা হচ্ছে। বিষ্ণোইয়ের সঙ্গে যোগ রয়েছে কানাডার। সেখানেও কিছু অপারেশনে সে জড়িত বলে মনে করা হচ্ছে। কিন্তু কানাডা পুলিস বলছে একেবারে অন্যকথা।

বেশকিছু দিন ধরেই কানাডার সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক বেশ খারাপ। দুদেশে কূটিনীতিকদের নিয়ে টানাপোড়েন চলছে। এর মধ্যেই কানাডা মাউন্ডেড পুলিসের দাবি, কানাডায় খালিস্তানপন্থী নেতা ও দক্ষিণ এসিয় মানুষজনকে টার্গেট করার জন্য বিষ্ণোই গ্যাংকে ব্যবহার করছে ভারতের গোয়েন্দারা।

কানাডা মাউন্টেড পুলিসের অ্যাসিসট্যান্ট কমিশনার ব্রিগেট গাভিন গতবছর অভিযোগ করেছিলেন কানাডায় খালিস্তানপন্থি নেতা হরদীপ সিং নিজ্জর হত্যার পেছনে হাত রয়েছে ভারতীয় গোয়েন্দাদের। এবার গাভিন বলেছেন, ভারত সরকার এখানে দক্ষিণ এসিয় লোকজনকে টার্গেট করছে, বিশেষ করে খালিস্তানপন্থি নেতাদের। এর পেছনে রয়েছে মূলত বিষ্ণোই গ্যাং। আমরা মনে করি ভারতীয় গোয়েন্দাদের সঙ্গে এদের যোগাযোগ রয়েছে।

এদিকে, কানাডার ওই দাবি উড়িয়ে দিয়েছে ভারত। নয়া দিল্লির তরফে বলা হয়েছে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রেুডোর যে দাবি ভারত কানাডার নাগরিকদের বিরুদ্ধে দুষ্কৃতীদের সাহায্য করছে তার কোনও ভিত্তি নেই।

উল্লেখ্য, এনআইএর চার্জশিট অনুযায়ী বিষ্ণোই গ্যাংয়ের হাতে রয়েছে ৭০০ শ্যুটার। এদের বেশিরভাগ রয়েছে পঞ্জাবে। তাদের জাল ছড়ানো পঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থান ও মহারাষ্ট্রে। হুমকি দিয়ে তোলা আদায় করে কোটি টাকা কামায়  বিষ্ণোই গ্যাং। এনিয়ে দেশের ১১ রাজ্যে অভিযোগ রয়েছে। বিষ্ণোইয়ের সঙ্গে যোগ রয়েছে আরও এক গ্যাংস্টার গোল্ডি ব্রারের। তারাই এখন ডি কোম্পানির কাছে চ্যালেঞ্জ বলে মনে করা হচ্ছে।

(Feed Source: zeenews.com)