ভাইপো বাড়ি যেতে পারেনি, বাঁকুড়া থেকে তাঁর প্রিয় ‘রচনা’কে পাঠালেন ভাস্বরের কাকা

ভাইপো বাড়ি যেতে পারেনি, বাঁকুড়া থেকে তাঁর প্রিয় ‘রচনা’কে পাঠালেন ভাস্বরের কাকা

প্রতিবারই দুর্গাপুজোর সময় ছুটে যান বাঁকুড়ার পৈত্রিক ভিটেতে। সেখানে তাঁর বাড়ির পুজো বহু প্রাচীন। তবে এবার আর বাড়ির পুজোয় যাওয়া হয়নি অভিনেতা ভাস্বর চট্টোপাধ্যায়ের। তবে বাড়ির ছেলে বাড়ি না গেলেও প্রসাদ পাঠাতে ভোলেননি ভাস্বর চট্টোপাধ্যায়ের কাকা দেবাশিস চট্টোপাধ্যায়। স্নেহের ভাইপোর কাছে সুদূর বাঁকুড়া থেকে কলকাতায় পাঠিয়ে দিলেন তাঁর প্রিয় ‘রচনা’কে।

হ্যাঁ, ঠিকই শুনছেন, নাম তার ‘রচনা’। কী অবাক হচ্ছেন তো?

নাহ, রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথা বলছি না। বা ‘রচনা’ অন্য কোনও মহিলাও নন। এই রচনা হল এক বিশেষ ধরনের মিষ্টি। যে মিষ্টি শুধুমাত্র নাকি বাঁকুড়াতেই পাওয়া যায়। বিশেষভাবে তৈরি হয় এই মিষ্টি। তাঁর বাঁকুড়ার পৈত্রিক বাড়ির দুর্গা ঠাকুরের ছবি ও ভোগ-এর বিশেষ এই মিষ্টির ছবি দিয়ে অভিনেতা ভাস্বর চট্টোপাধ্যায় লেখেন, ‘Couldn’t help posting as most of us aren’t aware of this. (অনেকেই হয়ত এই বিষয়টি জানবেন না) বাড়ির পুজোয় যাওয়া হয়নি তাই আমার কাকা দেবাশিস চট্টোপাধ্যায় আমার প্রিয় মিষ্টি পাঠিয়ে দিয়েছেন। এই মিষ্টির নাম রচনা…শুকনো বোঁদে দিয়ে তৈরী,বাঁকুড়া ছাড়া অন্যত্র পাওয়া যায় বলে শুনিনি। আমাদের বাড়ির পুজোয় মায়ের ভোগে এটা must।’

প্রসঙ্গত, বাঁকুড়ায় ভাস্বর চট্টোপাধ্যায়ের বাড়ির পুজো ৭২ বছরের প্রাচীন। বহুবার বহু সাক্ষাৎকারে নিজের বাড়ির দুর্গাপুজো নিয়ে নানান স্মৃতি ভাগ করে নিয়েছেন ভাস্বর চট্টোপাধ্যায়। অভিনেতা আগে এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন, তাঁদের বাঁকুড়ার বাড়িতে ৭২ বছর আগে পুজো শুরু হওয়ার পর প্রথম ২ বছর মৃন্ময়ী মূর্তিতে পুজো হয়েছে। তবে তারপর পর থেকে অষ্টধাতুর দুর্গামূর্তিই পূজিত হয়ে আসছে তাঁদের চট্টোপাধ্যায় পরিবারে।

অভিনেতা জানিয়েছিলেন, তাঁর বাড়িতে মহিষাসুরমর্দিনী রূপেই পূজিত হয়ে আসছে দুর্গা মা। বৈষ্ণব মতে পুজো হয়। পুজোর পাশাপাশি খাওয়া দাওয়ারও এলাহি ব্যবস্থা থাকে।

এক সাক্ষাৎকারে পুজো নিয়ে ছোটবেলার স্মৃতি ভাগ করে নিয়ে ভাস্বর চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, একবার খুব ভোরে সন্ধিপুজো পড়েছিল। তাই তিনি আর তাঁর বাবা পুজোর দালানে এসে বসেছিলেন। দেখেন তিনজন আদিবাসী মহিলা এসে সিঁড়িতে ফুল ছড়িয়ে দুর্গাদালান নিকিয়ে দিলেন। অভিনেতার কথায়, অনেকেই পুজোর সময় আসেন, তবে এত ভোরে তিন মহিলাকে আসতে দেখে তিনি এবং তাঁর বাবা কিছুটা অবাকই হয়েছিলেন। সঙ্গে সঙ্গেই তাঁদের পিছু পিছু দরজা অবধি গিয়ে দেখেন সেখানে আর কেউ নেই। ভাস্বরের কথায়, ‘বিশ্বাস করুন গায়ে কাঁটা দিয়ে উঠেছিল….আজও সেই স্মৃতি জীবন্ত’।

(Feed Source: hindustantimes.com)